1. mti.robin8@gmail.com : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. newsnakshibarta24@gmail.com : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. nakshibartanews24@gmail.com : nakshibarta24 :
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
নাব্যতা হারিয়ে ডাকাতিয়া নদী এখন মরাখাল রমজানে বন্ধ থাকবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় : হাইকোর্ট বৃত্তিলাভে দোয়া কামনা লাকসামে জামেয়া ইসলামীয়া জমীরিয়া নাছিরুল উলূম মাদ্রাসার শুভ উদ্বোধন পথশিশুদের নিয়ে রেলওয়ে জংশনে মানবিক সংগঠন মায়ার পাঠশালা শুরু মানুষের হৃদয়ে আজও অম্লান ভাষা সৈনিক আবদুল জলিল সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপিকে চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান মাদক কারবারিরা সমাজের বিষফোঁড়া : আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় মুজিবুল হক এমপি চৌদ্দগ্রাম মডেল কলেজে পিঠা উৎসব নির্বাচিত হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবো : মুজিবুল হক

বন্যার প্রভাব পড়বে না আউশে

  • প্রকাশকালঃ বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০
  • ২৭৭ জন পড়েছেন
নকশী বার্তা ডেস্ক : আউশ ধানের আবাদে বন্যার ধাক্কা লাগায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে। কারণ উজানের ঢল এবং অতি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাসহ জামালপুর, ফরিদপুর ও সিলেটে বন্যা হচ্ছে। এর ফলে এসব অঞ্চলে আউশ ধান ডুবে গেছে। তবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলছেন, আউশের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে না। কারণ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ২ লাখেরও বেশি হেক্টর জমিতে আউশের চাষ হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে কিছু ধান নষ্ট হলেও জাতীয় উৎপাদনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলাতে নিরলসভাবে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মাঝেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এখন আউশ ও আমন উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে যথেষ্ট পরিমাণ আউশ ধান বীজ, আমন ধান বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কৃষকের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যখন অতিরিক্ত আউশ উৎপাদনের আশা করছে তখন সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় অনেক কৃষকের আউশ ধানের খেত ডুবে গেছে। অনেক কৃষক আছেন যারা এক ছটাক ধানও ঘরে তুলতে পারবেন না। কারণ বন্যার পানিতে ডুবে তাদের ধান পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষি ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে ৫ হাজার ৬৫৩ হেক্টর। এর মধ্যে আমন বীজতলা ৪৩৫ হেক্টর, আউশ ৮২৫ হেক্টর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বলেন, বন্যায় ১ হাজার ৬৯২ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, বন্যার পানিতে জেলায় ১৯৬ হেক্টর আউশ ধান পানিতে ডুবে গেছে।

সিরাজগঞ্জ জেলার জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জে ৫৫ হেক্টর আউশ ধান নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৫০৯ হেক্টর জমির অন্যান্য ফসলও তলিয়ে গেছে।

জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, জেলায় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ২৮৬ হেক্টর জমির আউশ ধান। এছাড়া ৬৫ হেক্টর আমনের বীজতলা ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি (১০০.৫২%)। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর। আর গত বছরের তুলনায় ২ লাখের বেশি হেক্টর জমি বেড়েছে এবার। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছিল, উৎপাদন হয়েছিল ৩০ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। ফলে আশা করা হচ্ছে, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আউশ উৎপাদন কয়েক লাখ টন বাড়বে। নিম্নাঞ্চলে কিছু ধান নষ্ট হলেও জাতীয় উৎপাদনে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমি ফেলে রাখা যাবে না। প্রতি ইঞ্চি জমিকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, যা গত বছরের চেয়ে ২ লাখ হেক্টর বেশি। বরিশালে যেসব জমি পতিত থাকত, কোনো আবাদ হতো না এবার সেসব জমি আউশ আবাদের আওতায় এসেছে। করোনাসহ যেকোনো মহামারি হলে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। আমাদের দেশে যেন কোনো খাদ্য সংকট না হয়, সে জন্য ধানের উৎপাদন আরও কীভাবে বাড়ানো যায় আমরা সে চেষ্টা করছি। কৃষককেও নানাভাবে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আউশ ধানের উৎপাদন অনেক গুণ বাড়বে। বন্যায় যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে আবাদ বহুগুণ বেড়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) কৃষিবিদ ড. মো. আলহাজ উদ্দিন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রথম দফায় ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৪ জন ও দ্বিতীয় দফায় ৮২ হাজার ৪০০ জন কৃষকসহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৪ জন কৃষককে আউশ চাষে প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কৃষককে বীজ ও সার ফ্রি দেওয়ার কারণে আউশ চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা কৃষককে ভালো জাতের অধিক ফলনশীল বীজ দিচ্ছি। এসব বীজে অধিক উৎপাদন হবে। আর অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হলে পরবর্তীতে আউশ ধান চাষে কৃষককে আর বলতে হবে না। নিজের প্রয়োজনেই কৃষক আউশ ধান চাষ করবে। যেহেতু এবার আবাদেও জমি বেড়েছে তাই বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তাতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোনো সমস্যা হবে না।

0Shares

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম