মোজাম্মেল হক আলম :
আমাদের বাংলাদেশে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল (সর্বশেষ বর্তমানে ৪৪ টির নিবন্ধন আছে বলেই জানা যায়) আছে, তেমনি রাজনীতিক ও আছেন বেশুমার। নানান কিসিমের রাজনৈতিক নেতা দেখি এখন আমরা। তবে রাজনীতি করা যতো সহজ রাজনীতিক হয়ে উঠাটা ততোটা সহজ ব্যাপার নয়।
রাজ+নীতি = রাজনীতি।
রাজনীতি হবে নীতির রাজা, নিশ্চয়ই সেটা রাজার নীতি নয়। কেননা রাজা হলেই তার নীতি উত্তম হবে,এমন নিশ্চয়তা নেই। সর্বোৎকৃষ্ট নীতি যেটা, সেটাই রাজনীতি। আর সর্বোৎকৃষ্ট নীতির রাজনীতি যিনি করেন, তিনিই হলেন রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব।
আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ নেতাদের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট নীতি ও ইতিবাচক গুণাবলী কয়েকজনের মধ্যে আছে, তা বলা কঠিন, তবে এখনো যে কিছু দেশপ্রেমিক, জনগণপ্রেমিক, সামাজিক, বিদৎসাহী, মিডিয়া বান্ধব, পরোপকারী, ক্ষমতার দম্ভ না দেখানো এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেয়া গরীবের বন্ধু, সমাজসেবক, দলীয় মতভিন্নতা ভুলে গিয়ে এলাকার সবার সুখে-দুঃখে পাশে থাকা এবং এলাকাকে উন্নয়নের রুল মডেল হিসেবে রুপ দেয়া জননন্দিত মানবপ্রেমী আছেন, তিনি সেই মুষ্টিমেয় কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম।
জ্বি, ঠিকই অনুমান করেছেন। তিনি আমার, আপনার, আমাদের সবার প্রিয় জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম।
লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সবার প্রিয় মোঃ তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ১৯৫৫ সালে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার পোমগাঁও গ্রামে এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আলহাজ জুলিফিকার আলী ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে।
তিনি পড়াশোনা করেছিলেন পোমগাঁও প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয়ে, নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যথাক্রমে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল অব স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে মার্কেটিং এবং ফিন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত সাধারণ নির্বাচনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
একজন সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি স্বরাষ্ট্র, পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। শিক্ষার বিস্তারে তার অবদান অনেক।
তিনি নিজ এলাকায় অসংখ্য স্কুল, কলেজ তৈরি করেছেন। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে সকলের সাথে নিজেকে দাঁড় করান এক নতুন দিগন্তে। ফেবিয়ান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজসহ বর্তমানে ২০ টি প্রতিষ্টানের স্বত্বাধিকারী তিনি। দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার প্রকাশকের দায়িত্ব ও পালন করছেন তিনি।
বলতে দ্বিধা নেই, তিনি এতদাঞ্চলের গর্ব, নয়নমনি, দিক নির্দেশক, অভিভাবকও বটে। এমন নেতা কেবল লাকসাম মনোহরগঞ্জ নয়, গোটা বাংলাদেশেরই গর্ব।
এমন গুণাবলী ব্যাক্তিত্বই এ এলাকার বারবার নেতৃত্বে থাকা দরকার। যার মনে কোন লোভ এবং হিংসে নেই। তিনিই এতদাঞ্চলে র্নিদ্বিধায় ভোট পাওয়ার যোগ্য।
ছন্দে বলতেই হয়-
ডিজিটাল লাকসাম-মনোগরগঞ্জের রুপকার,
মোঃ তাজুল ভাইকে ফের দরকার।
লেখক : সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক।
Leave a Reply