নিজস্ব প্রতিনধি :
লাকসামে ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় ৩জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৬মে মঙ্গলবার উপজেলার ৮নং পূর্ব ইউনিয়ন (নরপাটি) আশাগী গ্রামে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আশাগী গ্রামের মৃত. রঙ্গু মিয়ার ছেলে মোঃ আমির হোসেন গত ৩জুন বুধবার ৭জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লাকসাম পৌরসভার গুনতি গ্রামের কয়েকজন যুবক ওইদিন সন্ধ্যায় আশাগী গ্রামে এসে আমির হোসেনের বাড়ির পাশে রাস্তা দিয়ে চলাচলরত মেয়েদেরকে বিভিন্ন রকম ইভটিজিংমূলক আচরন করে। এসময় ওই বাড়ির আবদুস সালামের ছেলে আবদুর রহমান প্রতিবাদ করলে তাকে তারা চড়-থাপ্পর দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। রহমান বাড়িতে এসে তার চাচা আমির হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করলে আমির হোসেন ওই ইভটিজারদের পরিবারকে জানায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আমির হোসেনের উপর হামলা চালায়। আমির হোসেনের স্বরচিৎকারে তার ভাই মিলন মিয়া (৪৮), চাচাত ভাই সোলাইমান মিয়া (৫৫) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে মিলন মিয়ার ডান হাতে এবং সোলাইমান মিয়ার মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পরে আহত আমির হোসেন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় গুনতি গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে মিলন, মাসুদ মিয়ার ছেলে ইশতিয়াক, মানিক মিয়ার ছেলে সোহেল, মমিন মিয়ার ছেলে হাসান, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শামিম, কাদ্রা গ্রামের মন্টু, নোয়াপাড়া গ্রামের কালাম মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন সহ আরো ১০/১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলী আহমেদ বলেন, আমি ঘটনা শুনে তাদেরকে মিমাংসার জন্য ডেকে ছিলাম। কিন্তু উভয় পক্ষ এই মহামারীর মাঝে বাড়তি জনসমাগম করায় তা নিয়ে আর বসা হয়নি।
Leave a Reply