নকশী বার্তা ডেস্ক : পদ্মার পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে প্রতিদিন এলাকাবাসীর ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাটের পাশে নতুনপাড়া, নালু মণ্ডলেরপাড়ার গ্রামের কয়েক শতাধিক বাসিন্দা এ ঝুঁকিতে বসবাস করছেন। এখন তাদের একমাত্র ভরসা ডিঙি নৌকা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষাণীরা গামলায় করে পোটলা বেঁধে গ্রাম থেকে নৌকায় করে স্বামী জন্য খাবার নিয়ে দৌলতদিয়ার দিকে যাচ্ছে, অনেকে আবার দৌলতদিয়া থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বাড়িতে ফিরছেন।
দৌলতদিয়াঘাটের দোকানদাররা খাবার, প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য এ ছোট ডিঙি ব্যবহার করছেন।
রীনা বেগম নামে নৌকায় পার হওয়া এক কৃষাণী বলেন, আমাদের অনেক জমি ছিল কিন্তু পদ্মার ভাঙনে সব বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমরা মানুষের বাড়িতে কাজকর্ম করে খাই, সরকার যদি এ পথ ব্যবহারের জন্য একটি রাস্তা করে দেয়, তা হলে আমরা খুব উপকৃত হই।
স্থানীয় বাসিন্দা রজব আলী বলেন, নদীর পানি যেভাবে হুহু করে বাড়ছে, তাতে নদী পারাপারে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। শিশুদের নিয়েও থাকা মুশকিল।
ঘাটের কাজ দেখাশোনা করা ইজারাদার রাজ্জাক প্রামাণিক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে লোকজন তেমন নেই, তিন-চারজন লোক পারাপারের জন্য প্রতিদিন জনপ্রতি ২০০ টাকা করে পাই। সেটি দিয়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
নৌকার মাঝি উম্বার সরদার বলেন, অনেক দিন ধরে এ ঘাটে মানুষ পারাপার করি। আগে বেশি লোক হতো, পানি বাড়ার কারণে এখন সবাই নিজেই নৌকা তৈরি করে নিয়েছে। দিনভর যা আয় হয়, তা চারজন মিলে ভাগ করে নিই।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, লঞ্চঘাটের ইজারাদার, মাঝিসহ চারজন লোকের জন্য মানবিক দিক চিন্তা করে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ঘাট ছেড়ে দিয়েছি। যাতে তারা কর্ম করে খেতে পারেন।
Leave a Reply