মোহাম্মদ মনির উদ্দিন মান্না : চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার জামালপুর গ্রামের দানবীর প্রয়াত হাজী শাহ আলম এর সুযোগ্য পুএ, শান্তির হাট জামে মসজিদ এর সভাপতি, মীরসরাই সমিতি,সংযুক্ত আরব আমিরাত এর সম্মানিত সভাপতি,জাতীয় কবিতা মঞ্চের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সুমাইয়া গ্রুপ, আবুধাবি ও এফ, আই ,কে,প্রোপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিঃ,বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান, খান কল্যাণ ট্রাষ্ট এর চেয়ারম্যান, হোটেল সুইস গার্ডেন ইন্টারন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান,মিরসরাই কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক, মানবতার কবি ফখরুল ইসলাম খান সি আই পি একজন বৃক্ষ প্রেমিক হিসাবে তিনি পরিচিত।
দুই যুগ ধরে নিজ অর্থায়নে বৃক্ষ রোপন করছেন। ফখরুল ইসলাম খান সি আই পি বলেন- খেজুর (Date Palm) এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা (Phoenix dactylifera)। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় অনেক বছর পূর্ব থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ গাছটি প্রধানতঃ মরু এলাকায় ভাল জন্মে। তাই আমার আরব আমিরাত শারজাহ আজমান নিজ বাসভবনে লাগাই। খেজুর গাছের ফলকে খেজুররূপে আখ্যায়িত করা হয়। খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি। যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। আপনার ও বেশি বেশি খেজুর গাছ লাগান। পাখি পাবে আশ্রয়স্থল আর মানুষ পাবে হিমশীতল পরিবেশ এই আশা নিয়ে আমি মাত্র ২০ বছর বয়স থেকেই গাছ লাগানো শুরু করি। আজ ৪৫ বছর বয়সে এসেও গাছ লাগিয়ে যাচ্ছি এবং যতদিন বাঁচব গাছ লাগিয়েই যাব। এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক গাছ লাগানো হয়েছে দেশে বিদেশে এবং ভবিষ্যৎপ্রজন্মও যেন গাছ লাগিয়ে যেতে পারে এ জন্য গড়ে তুলেছি আমার নিজস্ব সুরাইয়া গ্রীণ এগ্রিকালচার বাংলাদেশ।আমি প্রতি বছর বিনামূল্য বৃক্ষ বিতরণ করি থাকি। যারা গাছ লাগাতে চায় সেখান থেকে বিনামূল্যে গাছ দিয়ে থাকি। এটাই আমার শান্তি যে এখন সবুজ পরিবেশ গড়ে উঠছে।
বট-পাকুড়, আম, জাম, কাঁঠাল, মেহগনি, শিশু, হরীতকী-বহেড়া গাছ লাগাতে লাগাতে কখন যে বৃক্ষপ্রেমিক হয়ে গেছি আমি নিজে জানি না। এখন সবাই বলে আমি বৃক্ষ প্রেমিক । মানবতার কবি ফখরুল ইসলাম খান সি আই পি ছোট বেলা থেকে বৃক্ষ রোপণ শুরু করেন। এর পর গাছ লাগানের নেশা তার পিছু ছাড়েনি। ২৪ বছর যাবত তিনি , রাস্তাঘাট ও পুকুরপাড়ে জমির পাসের উচ্চ জাই গাই গাছ লাগিয়ে যাচ্ছেন। তার লাগানো আম গাছে ফল ধরছে।মীরসরাই উপজেলার বারইয়ার হাট পৌরসভা তার কারণে বদলে গেছে প্রকৃতির চিত্র। তার দেখাদেখি আশেপাশে মানুষ গুলো হয়ে উঠেছে বৃক্ষ প্রেমিক। সড়ক ও পতিত জমি টার্গেট করে তিনি গাছ লাগান । তার বিভিন্ন জমিতে বেড়ে ওঠেছে তার রোপনকৃত গাছ। এছাড়া তিনি আম, কাঁঠাল, লিচু, কামরাঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা রোপন করেছেন। বৃক্ষের প্রতি অনুরাগের কারনে মানবতার কবি ফখরুল ইসলাম খান সি আই পি পেয়েছেন বৃক্ষ প্রেমিকের উপাধি। তার বৃক্ষ প্রীতির কথা ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মুখে মুখে।
তিনি নিজ অর্থায়নে গাছ লাগিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। প্রতি বছর হাজার হাজার টাকার বৃক্ষ রোপন করে চলছেন। বৃক্ষরোপন করেই যেন অজানা কোন তৃপ্তি পান তিনি। মানবতার কবি ফখরুল ইসলাম খান সি আই পির বৃক্ষরোপনের কথা মীরসরাই উপজেলার সহ চট্টগ্রাম জেলার সবারই জানা। গাছকে তিনি সন্তানের মত করেই স্নেহ করেন। সারাক্ষন গাছের পরিচর্যা করে সময় কাটান। তিনি আরো বলেন – আল্লাহ এ পৃথিবীর জমিকে আমাদের জন্য উর্বর করে দিয়েছেন। এতে আমরা হরেক রকম ফলদ,বনজ ঔষধি বৃক্ষরাজী পাই। আল্লাহ এগুলো দিয়ে ধরাকে সাজিয়েছেন সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা করে। তাই মানুষকে তার নিজেদের প্রয়োজনেই পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য গাছ গাছালি রোপন ও পরিচর্যা করা দরকার। তাই আমাদের প্রয়োজনের তাগিদেই আমরা রাস্থা ঘাট খাল বিলের পাড়ে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযুক্ত কোন জাগা খলি না রেখে বৃক্ষ রোপন করব, সংরক্ষণ করব । আজ যত্রতত্র দেখা যায় বনজংগল বাগান সব উজার করে দেয়া হচ্ছে নিজেদের স্বার্থে। যাতে বিনাষ হচ্ছে আমাদের পরিবেশ। বঞ্চিত হচ্ছি আমরা আসবাব পত্রের নির্মাণ সামগ্রী , খাদ্য , ফলফুল থেকে। অথচ গাছ গাছালী একদিকে আমাদের পরিবশের ভারসাম্য রক্ষা করে,খাদ্যের যোগান দেয়। আসবাবপত্রের চাহিদা পূরণ করে,অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বি বানায় অপরদিকে পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে,আর মূলগতভাবে আল্লাহর প্রশংসা ও যিকির করে থাকে। সুতরাং গাছ গাছালি আমাদের জন্য ইহ পরকালীন উপকারে নিবেদিত । খাদেমে রাসূল হযরত হযরত আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু তা’লা আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন — কেউ যদি একটা বৃক্ষ রোপন করে কিংবা খাদ্য শষ্য উতপন্ন করে অত:পর তা থেকে মানুষ পাখী বা অন্য কোন পশু তার কিয়দাংশ ভক্ষন করে তবে এটা তার জন্য সদকা হিসেবে বিবেচিত হবে। সর্বোপরি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদীছ এখানে সবিশেষ প্রনিধান্যোগ্য । কেঊ যদি জানে আগামী কাল ক্বিয়ামত হয়ে যাবে তারপরে ও কেউ সক্ষম হলে যেন একটি গাছের ছাড়া রোপণ করে। সুবহানাল্লাহ।
Leave a Reply