1. [email protected] : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. [email protected] : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. [email protected] : nakshibarta24 :
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুসলিম জাতির ত্যাগের অন্যতম নিদর্শন কুরবানী

  • প্রকাশকালঃ মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০
  • ২৪৫ জন পড়েছেন

মুহা: জাকির হোসাইন :


কুরবানী মহান আল্লাহ তা’য়ালার সুনির্ধারিত বিধান। এ বিধান আদিপিতা ও প্রথম নবী হজরত আদম ( আ.) হতে অদ্যাবধি বিদ্যমান রয়েছে।
কুরবানির ইতিবৃত্ত : ইসলামের ইতিহাস পর্যলোচনায় দেখা যায় যে, তিনজন নবীর সময়ের কুরবানি সমধিক আলোচিত। তাহলো- ১. আদম (আ.) এর কুরবানি। এ প্রেক্ষিতে ইরশাদ হচ্ছে, “আপনি তাদেরকে আদমের দুই পুত্রের বাস্তব অবস্থা পাঠ করে শুনান। যখন তারা উভয়েই কিছু উৎসর্গ নিবেদন করেছিল, তখন তাদের একজনের উৎসর্গ গৃহীত হয়েছিল এবং অপরজনের গৃহীত হয়নি। সে বলল, আমি অবশ্য তোমাকে হত্যা করব। সে বলল আল্লাহ ধর্মভীরুদের পক্ষ থেকেইতো গ্রহন করেন। (সূরা আল মায়িদা, আয়াত: ২৭)
২. হযরত ইব্রাহিম (আ.) কর্তৃক তদীয় পুত্র ইসমাঈল (আ.) কে কুরবানি । এ বিষয়ে কুরআনুল কারীমে সূরা আস সাফফাত এর ১০২ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, “অত:পর সে যখন পিতার সাথে চলা-ফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহিম (আ:) বললেন:বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ ! সে বলল পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।“
৩. বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর কুরবানি: সাইয়্যেদুল মুরসালিনের উপস্থাপিত কুরবানিই বর্তমান মুসলিম বিশ্বে প্রচলিত। এ প্রেক্ষিতে সূরা কাউছারে ইরশাদ হয়েছে- “নিশ্চয় আমি আপনাকে কাউছার দান করেছি ।
অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করুন এবং কুরবানি করুন। যে আপনার শত্রু সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
কুরবানির গুরুত্ব :
গবেষনা ও পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ইবাদত তিন প্রকার। তাহলো-
১. শারীরিক ২. আর্থিক ৩. চিন্তাগত বা আন্তরিক । কুরবানি আর্থিক ইবাদতের অন্যতম। দার্শনিক বলেন, Slaughtering animals on the day of Edul Adha is suprim sacrifise of Muslims for almighty loard, Allah.

কুরআন মাজিদের সূরা হাজ্জের ৩৩নং আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন, আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানির নিয়ম করে দিয়েছি যাতে আমি তাদেরকে জীবনোপকরন স্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছি সে গুলির উপর আল্লাহর নাম উচ্ছারণ করে। তোমাদের মাবুদ একই মাবুদ, সুতরাং তাঁরই নিকট আত্মসমর্পন কর এবং শুভসংবাদ দাও বিনীত জনদেরকে।”
হাদিসে এসেছে- উম্মে সালমা (রা.) বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জিলহাজ্জ মাসের নতুন চাঁদ দেখার পর কুরবানী করার ইচ্ছা করে, সে যেন কুরবানী করার পূর্বে চুল ও নখ না কাটে। (সুনানে আন নাসায়ী, হাদীস নং ৪৩৬১)
কুরবানির ফযিলত: হাদীস শরীফে এসেছে, সাহাবা (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এ কুরবানী কি? রাসূল (সা.) বললেন, তোমাদের পিতা ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নাত। তাঁরা বললেন, এতে আমাদের কি উপকার রয়েছে? তিনি বললেন, প্রত্যকটি পশমের বিনিময়ে নেকি রয়েছে।

কুরবানির পশু: কুরবানির পশু প্রাপ্ত বয়স্ক, নিখুঁত ও তাজা হতে হবে। অপ্রাপ্ত , রোগা এবং অঙ্গহীন পশু কুরবানির জন্য প্রযোজ্য নয়। হাদীসে এসেছে কুরবানির জন্তু কিয়ামতে শিং ও খুর নিয়ে উপস্থিত হবে।
কুরবানির উদ্দেশ্য: আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কুরবানি দিতে হবে। লৌকিকতা বা গোস্ত খাওয়া উদ্দেশ্য হলে পরকালে তা কল্যাণে আসববেনা এ প্রেক্ষিতে কুরআনুল কারীমের সূরা আল হাজ্জ এর ৩৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “এ গুলোর গোস্ত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায়না, কিন্তু পৌঁছে তোমাদের মনের তাকওয়া।”
কুরবানির গোস্ত: কুরবানির জন্তুর গোস্ত আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য হালাল ও উত্তম করেছেন। রাসুল্লাহ (সা.) কুরবানির ঈদে কুরবানির পশুর গোস্ত দিয়ে প্রথম খেতেন। তাই কুরবানির গোস্ত কুরবানি দাতা নিজে খাবে। তাছাড়া আত্মীয়, প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের মাঝে বন্টণ করা উত্তম।
কুরবানির চামড়া: কুরবানি দাতা নিজে ব্যবহার করতে পারে। তবে বিক্রয় করলে মূল্য গরিবের মাঝে বন্টণ করতে হবে।
ঈদের দিনে বিনোদন: ইসলামে নিষিদ্ধ নয় এমন ক্রীড়া-কলাপ জায়েয। বিশেষভাবে বলা যায়, ঈদে আমোদ-প্রমোদের অনুমতি ইসলামে রয়েছে। হাদীসে এসেছে- হযরত আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত: হযরত আবু বকর (রা.) তাঁর নিকট এলেন। এ সময় মিনার দিবস গুলোর এক দিবসে তাঁর নিকট দুটি মেয়ে দফ বাজাচ্ছিল, নবী (সা.) চাদর আবৃত অবস্থায় ছিলেন। তখন আবু বকর (রা.) মেয়ে দু’টিকে ধমক দিলেন। অত:পর রাসূল (সা:) মুখমণ্ডল হতে চাদর সরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আবু বকর এদের বাঁধা দিওনা। কেননা এসব ঈদের দিন। আর সে দিনগুলো ছিলো মিনার দিন। বুখারী-৯৮৭
উল্লেখ্য যে, বিনোদনের নামে যুবক ছেলেদের সতর খুলে খেলা-ধুলা আর মেয়েদের গলা-মাথা খুলে বেড়ানো বৈধ নয়।
পরিশেষে বলছি, বর্তমানে করোনা ক্রান্তিকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবারের ঈদ-উল-আযহা উদযাপিত হবে ইনশাআল্লাহ।

লেখক :
মুহা: জাকির হোসাইন
উপধ্যক্ষ, বাংগড্ডা ফাযিল মাদ্রাসা।
নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।
মোবা: ০১৭২৪-০২৩০০৪

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম