নিজস্ব প্রতিনিধি : কবি সেই ব্যক্তি বা সাহিত্যিক যিনি কবিত্ব শক্তির অধিকারী এবং কবিতা রচনা করেন। একজন কবি তাঁর রচিত ও সৃষ্ট মৌলিক কবিতাকে লিখিত বা অলিখিত উভয়ভাবেই প্রকাশ করতে পারেন। একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট, ঘটনাকে রূপকধর্মী ও নান্দনিকতা সহযোগে কবিতা রচিত হয়। কবিতায় সাধারণত বহুবিধ অর্থ বা ভাবপ্রকাশ ঘটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধারায় বিভাজন ঘটানো হয়।
কার্যত যিনি কবিতা লিখেন, তিনিই কবি।স্কুল জীবন থেকেই শুরু হয় লেখালেখির হাতে খড়ি। বাবা মায়ের স্নেহে আদর্শ মানুষের শিক্ষা পেয়ে বেড়ে উঠেন। মনির উদ্দিন মান্নার সাংবাদিকতার কলমে সমাজের চালচিত্র যেমন উঠে আসে, ঠিক তেমনি উঠে আসে অসহায়, দরিদ্র, মেধাবী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের কাহিনী। আন্তরিকতা ও সহযোগীতা দিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন অসংখ্য দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে। তিনি পরোপকারেই যেনে খুজে পান আত্মতৃপ্তি। সাংবাদিকতার পাশে সাহিত্যকেও তিনি নিয়েছেন আপন করে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলা সাহিত্য অঙ্গন পেয়েছে নতুন রূপ। তিনি একজন নিভৃতপ্রিয়, প্রচারবিমুখ প্রকৃতিপ্রেমী।
ছেলেবেলা থেকে বাড়িতেই দেখেছেন নানা লতাপাতা আর বৃক্ষের সমাহার। প্রজাপতির ডানা মেলা দিনগুলোতে পাথারিয়া পাহাড়ের আরণ্যক নিসর্গে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই তার গাছপালার প্রতি প্রবল ভালোবাসা। যে ভালোবাসা আজো টিকে আছে। বয়স হয়ছে তারপরও তাকে প্রকৃতি ডাকে। দেশের ও বিদেশে আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ান প্রকৃতির অমোঘ টানে। তাকে এক নামে চেনে সবাই। তিনি হলেন- কবি, সাংবাদিক, লেখক, গল্পকার, সাদামনের মানুষ মোহাম্মদ মনির উদ্দিন মান্না । আজ ১৭ আগস্ট এই কবি ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মনির উদ্দিন মান্নার জন্মোৎসব।
জাতীয় কবিতা মঞ্চ, সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির বরেণ্য কবি ও কলামিস্ট মোহাম্মদ মুসা বলেন- কবি কবিতার শরীরে রয়েছে বর্তমান সমাজের আলো ও কালো দুই দিকেরই সমান প্রতিফলন, তিনি তার চোখ দিয়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। প্রকৃতিবিষয়ক তার কর্মপরিধি দিয়ে আমাদের সচেতন হতে শেখায়। প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখায়। তিনি আমাদের প্রেরণার উৎস। অনুভূতি প্রকাশ করে কবি ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মনির মান্না বলেন, আমি আপনাদের ভালোবাসায় অভিভূত। আমার জন্ম দিনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আজ আমার শুভ জন্ম দিন । অসংখ্য বন্ধু স্বজন কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক সহ সকল শুভানুধ্যায়ী জন্ম দিনের কে প্রাণবন্ত এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছেন। এবং যারা ফেসবুকে আমাকে শুভেচ্ছার মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলেছেন তাদের সবার প্রতি প্রাণঢালা নিরন্তর ফুলের ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। অবাক চিত্তে সেদিন দেখিয়াছিলাম চারদিক কত সুন্দর কি যে মনোহর অপরূপ ধরাতল কানপেতে শুনেছি পাখির কলকাকলি মৃদু তপ্ত হাওয়ার মাঝে কি যেন শিরন ছিল সুহৃদের ভালবাসায় সিক্ত একটি ক্ষণ জীবনের প্রতি বিনম্র কৃতজ্ঞতা আমি সবার ভালবাসায় বিমুগ্ধ হলাম।
আমার জন্ম দিন কে রাঙিয়ে আমার পথ চলা এ শুভালগ্নে আমাকে ধন্য এবং এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমি তাহাদের কাছে চির ঋণী হয়ে থাকলাম।আজকে আমি অঙ্গিকার বদ্ধ সাহিত্য সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা কে প্রবাসের মাটিতে আর ও বেগবান সৃজনশীল অনবদ্য ছাপ রেখে আমার প্রজন্মের জন্য যেন রেখে যেতে পারি অনুকরণীয় এমন কিছু যার মাধ্যমে মানবতা সামান্যতম হলেও উপকৃত হয়। সকলের আগামীর সূর্য দোয়ের দিন গুলো হোক অনাবিল সুখি ও সমৃদ্ধি স্নেহ ভালবাসা সহমর্মিতা প্রীতি পুণ্য এক আলোক ময় জীবন। জীবনের ২৮টি বসন্ত বিদায় নিয়েছে। অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। অনেক কিছু দেখেছি। অনেকের সাথে পরিচিত হয়েছি। অনেকের সাথে অনেক রকম বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।
অনেক মজার সময় পার করেছি। অনেক কষ্টের সময়ও পার করেছি। হরেক রকম ঘটনার সাক্ষী হয়েছি। নিজে থেকে অংশ গ্রহণও করেছি।গত হওয়া সময়ের সাথে যোগ হচ্ছে আরো একটি বছর। সকলের কাছে সব ভুলের ক্ষমা চাচ্ছি। তারো আগে ক্ষমা চাই মহান রবের কাছে। আজ ও আগামীর দিনগুলো সবাইকে নিয়ে ভাল থাকতে চাই। চাই সুন্দর কিছু মানুষদের সাথে ভালভাবে বেঁচে থাকতে। আমার জন্মদিনে সবার জন্য অনেক অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
Leave a Reply