নকশী বার্তা ডেস্ক : গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্পসহ ৩ হাজার ৪৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গভীর সমুদ্রে টুনা মাছ আহরণে প্রস্তাবিত ব্যয় ৬১ কোটি ৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশে মাছ উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়াতে কয়েকটি ভ্যাসেল কেনার পরিকল্পনা করছে মৎস্য অধিদপ্তর। চলতি মাস থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্র ও আন্তর্জাতিক জলসীমায় টুনা ও সমজাতীয় মাছের প্রাপ্যতা যাচাই ও আহরণে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় মাছ আহরণের মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা এর লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে।
এছাড়া একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ‘ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ প্রকল্পের। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শক পাবেন ২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ৫৯৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের অনুদান থেকে ৫৯৫ কোটি টাকা।
এছাড়া ৮৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বারৈয়ারহাট-হোঁয়াকো রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘খুলনা সড়ক জোনের আওতাধীন বেইলি সেতুর স্থলে কংক্রিট সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের ব্যয় ৫৩১ কোটি টাকা। ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন হতে পটুয়াখালী জেলাধীন বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা রক্ষা প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দাউদকান্দি-গোয়ালমারী মাসড়কের মান উন্নয়ন প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫৩০ কোটি টাকা। সাতটি প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ৬২৬ কোটি ৪৮ কোটি টাকা। বাকি অর্থ বিশ্বব্যাংকের ঋণ ও অনুদান থেকে মেটানো হবে।
Leave a Reply