1. [email protected] : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. [email protected] : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. [email protected] : nakshibarta24 :
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌর ও ইউপি নির্বাচনের তোড়জোড়

  • প্রকাশকালঃ রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০
  • ২৮৯ জন পড়েছেন

নকশী বার্তা ডেস্ক : আসছে ডিসেম্বরে এবং নতুন বছরের প্রথমার্ধে (মার্চ থেকে এপ্রিল) স্থানীয় স্তরের দুটি বৃহৎ পরিসরের নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুটির একটি মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভা এবং অন্যটি তৃণমূলের মূলভিত্তি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। আড়াই শতাধিক পৌরসভা ও চার হাজারের বেশি ইউপিতে হবে এই নির্বাচন। নির্ধারিত সময়ের ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে—এসব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে ইসিকে।

বর্তমানে সংগ্রহ করা হচ্ছে পৌরসভাগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানে কি জটিলতা (সুবিধা-অসুবিধা) আছে তার তথ্য। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মাঠ অফিসের কর্মকর্তারা এ কাজটি করছেন। তাদের পাঠানো তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর পৌরসভা নির্বাচন আয়োজনের সম্মতি চেয়ে কমিশনে নথি তুলবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পৌর শাখা। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে এবং তাদের মতামতের আলোকে সম্পন্ন হবে এসব নির্বাচন। তবে করোনা এখনো ধীরলয়ে চলায় অতীতের মতো একদিনে নাকি একাধিক দিনে করা হবে, সে সিদ্ধান্তও কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান নির্বাচন সংশ্লিষ্ট শাখা। সর্বশেষ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনটি হয়েছিল গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে।

এদিকে সারা দেশে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০-এর মতো নির্বাচন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারণে আসন্ন ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট হবে। বাকি ৪ হাজারের মতো নির্বাচন আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের দিকে ধাপে ধাপে সম্পন্ন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আছে। তবে আসছে অক্টোবরের শুরু থেকে এ নির্বাচনের নথি খোলা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। মাঠ পর্যায় থেকে তালিকা সংগ্রহ করা, নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিদ্ধকতা ও সীমানাসংক্রান্ত জটিলতা খতিয়ে দেখবেন ইসির মাঠ কর্মকর্তারা, যা ওই নির্বাচনের প্রাথমিক কর্মযজ্ঞ।

ইউপির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, ইউপির মেয়াদোত্তীর্ণ ও কিছু শূন্য হওয়া উপ-নির্বাচন শিগগিরই করার জন্য আলোচনা চলছে। কমিশন নির্বাচন সম্পন্নের সম্মতি দিয়েছে। তবে সাধারণ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল থেকে শুরু করা হবে, এর আগে আক্টোবর থেকে এ ধাপের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। এ নির্বাচনটি ২০১৬ সালের মার্চ থেকে বিভাগওয়ারী সম্পন্ন হয়েছিল। এবারো এই প্রক্রিয়ায় করার প্রাথমিক পরিকল্পনার রয়েছে বলে জানান এ সংশ্লিষ্টরা। মার্চ থেকে এপ্রিলে বর্ষা মৌসুম থাকায় দেশের উপকূলীয় জেলাকে অগ্রাধিকার দিকে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। স্থানীয় সরকার পৌরসভা ও ইউপির নির্বাচন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর পাঁচ বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এরই মধ্যে করোনা পরিস্থিতি মানুষের স্বাভাবিক জীবনে প্রভাব ফেলা অনেকটা কমে এসেছে। এই বিবেচনায় শূন্য হওয়া সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন এবং স্থানীয় স্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের শূন্য উপনির্বাচন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। গত সপ্তাহে কমিশন সভা করে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে নির্বাচনের পক্ষে তাদের মতামত দেয়। আগামী অক্টোবর থেকে এ নির্বাচন শুরু করবে।

এর আগে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার কারণে গত ২১ মার্চ দেশে সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ওই দিন নির্বাচন কমিশন জানায়, ভাইরাসটির প্রকোপ থাকা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। নির্বাচন কমিশনের এই স্থগিতাদেশের কারণে সব প্রস্তুতি নিয়েও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। বর্তমানে প্রশাসক প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন; প্রশাসকের নিয়োগের মেয়াদ শেষ হলে এ নির্বাচন করবে ইসি। একই দিনে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানেরও তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এই দুটি নির্বাচনও স্থগিত করা হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন ব্যাপক সমালোচনার মুখেও কমিশন ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪ ও গাইবান্ধা-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করে।

কমিশন সূত্র বলছে, চট্টগ্রাম সিটি ছাড়াও করোনার কারণে স্থানীয় সরকারের স্থগিত ১১৫টি নির্বাচন এবং অপসারণ, পদত্যাগ, মৃত্যু ও মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে নির্বাচন উপযোগী ১৮৭টি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আসছে অক্টোবর থেকেই শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করা হবে না। যথাসাধ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে।

এ প্রসঙ্গে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, গত সপ্তাহে ইসির সর্বশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী অক্টোবর মাস থেকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু করা হবে। আর নভেম্বর থেকে জাতীয় সংসদের শূন্য আসনগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। এসব নির্বাচনের জন্য আর সময়ক্ষেপণ করা হবে না। তার আগেই সম্পন্ন করা হবে ঢাকা-১৮ ও পাবনা-৪ আসনের নির্বাচন। আর চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন এমন সময় করা হবে যাতে এই সিটির প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই নির্বাচিত নতুন মেয়র দায়িত্ব নিতে পারেন।

পৌর ও ইউপির নির্বাচন শাখার সূত্রমতে, পৌর ও ইউপির নির্বাচন যথাসময়ে হবে কিনা এ বিষয়ে সারা দেশ থেকে আমাদের কাছে পরিচিতজনরা ফোন করে জানতে চাইছেন। আমরা তাদের বলছি, নির্বাচন যথাসময়ে না করার বিষয়ে কমিশন থেকে আমাদের কিছুই জানায়নি। কারণ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। সারা দেশে এরকম ৩২৪টি পৌরসভা রয়েছে। নতুন নতুন পৌরসভা হওয়ায় নির্বাচনও একত্রে করা সম্ভব হয় না। তাই এবার একত্রে ২৫০-এর বেশি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। বাকিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার সুবাধে নির্বাচন আগেই করতে হবে। এই পৌরসভা নির্বাচনের কাজ চলছে।

আর ইউপি নিয়ে এখনো প্রাথমিক কাজ শুরু হয়নি। বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ শুরু হয়ে কয়েক ধাপে ইউপির নির্বাচন শেষ হয় ওই বছরের ৪ জুন। আইন অনুযায়ী কোনো ইউপির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এই হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছরের মার্চে যেসব ইউপির পাঁচ বছর মেয়াদ হবে, সেসব ইউপিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে এ বছরের অক্টোবরের প্রথম কর্মদিবস থেকে আগামী বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। আর যেসব ইউপির মেয়াদ আগামী বছরের জুনের প্রথম দিকেই শেষ হবে, সেসব ইউপির নির্বাচন শেষ করতে হবে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে।

নির্বাচনী আমেজ : ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ ও নির্বাচন শুরুর সম্ভাব্য হিসাব করলে ভোটের এখনো সাড়ে ৯ মাস বাকি থাকলেও এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীরা। দেশের কোনো কোনো এলাকায় এই তোড়জোড়ের ব্যাপকতা দেখা যায় এবারের কোরবানির ঈদে। নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কেউ কেউ একাধিক গরু জবাই করে বিলি করেছেন এলাকার ভোটারদের মধ্যে। নানা সমীকরণে ভোটের মাঠে প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকে এমন ভোটারদের বাড়িতে কেউ কেউ গরু কিনেও পাঠিয়েছেন। এখানেই থেমে থাকছেন না সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাদের তৎপরতা দেখলে মনে হতে পারে, আর কয়েক দিন পরেই যেন ভোট। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে বাড়ি, পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো এখনই প্রায় সরগরম। কোথাও কোথাও শুরু হয়ে গেছে নগদ অর্থের ছড়াছড়িও। এসব দেশে মনে হচ্ছে দেশে নির্বাচনী উৎসব শুরু হয়ে গেছে।

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম