1. [email protected] : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. [email protected] : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. [email protected] : nakshibarta24 :
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিরে আসছে দেশি প্রজাতির মাছের সুদিন

  • প্রকাশকালঃ শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪০৪ জন পড়েছেন

নকশী বার্তা ডেস্ক : কড়কড়ে পুঁটি মাছ ভাজা কিংবা টেংরা মাছের ঝোল। ছোট মাছের চচ্চড়ি কিংবা গনিয়া, কালিবাউস, ভাগনা, মহাশোলের অপূর্ব স্বাদ। অথবা চিতল দিয়ে কোপ্তা! চল্লিশোর্ধ যারা আছেন, তারা দেশি এসব মাছের স্বাদ-গন্ধ মনে গেঁথে রেখেছেন। আর নতুন প্রজন্মের কাছে এসব মাছের প্রাচুর্য ও স্বাদ কেবলই গল্প। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)-এর প্রচেষ্টায় ফিরে আসছে বিপন্ন দেশি প্রজাতির মাছের সুদিন। বিএফআরআই’র উদ্ভাবিত প্রজনন কৌশলের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মৎস্য শিল্প এখন জিডিপিতে বড় ভূমিকা রাখছে। এ খাতে অবদান ৩.৬১ শতাংশ। দেশি মাছের পোনা উৎপাদনে বর্তমানে চার শতাধিক হ্যাচারি কাজ করে যাচ্ছে। শুধু ময়মনসিংহ অঞ্চলে ২০০ কোটি পাবদা ও গুলশা মাছের পোনা উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে মাঠপর্যায়ে পাবদা, গুলশা, শিং, টেংরা, মাগুর, কৈ, ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। বাটা মাছের চাষও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএফআরআই সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ২৩ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হচ্ছেÑ পাবদা, গুলশা, টেংরা, শিং, মাগুর, গুজি আইর, চিতল, ফলি, মহাশোল, বৈরালী, রাজপুঁটি, মেনি, বালাচাটা, গুতুম, কুচিয়া, ভাগনা, খলিশা, বাটা, দেশি সরপুটি, কালবাউশ, কৈ, গজার এবং গনিয়া। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ মাছগুলোতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ ও আয়োডিনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং রক্তশূন্যতা, গলগ , অন্ধত্ব প্রভৃতি রোগের প্রতিরোধে সহায়তা করে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে রানী মাছ, কাকিলা, গজার, শাল বাইম, বৈরালী মাছ, আঙ্গুস ও খোকসা মাছ এবং উপকূলীয় এলাকার কাইন মাগুর (কাউন) মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করায় পোনা প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে। অনেকে চাষাবাদেও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ইনস্টিটিউট থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন দেশের প্রায় শতাধিক হ্যাচারিতে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন করা হচ্ছে। পরে ব্যবহার করা হচ্ছে চাষাবাদে। কর্মসংস্থান হয়েছে লক্ষাধিক লোকের। এ প্রসঙ্গে বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে বর্তমানে ইনস্টিটিউটের যশোর, সৈয়দপুর ও ময়মনসিংহ গবেষণা কেন্দ্র থেকে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে। মৎস্য অধিদফতরও অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এসব দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কাজ করছে।

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম