দিলরুবা শরমিন : বৈষম্যমূলক মানসিকতার আরেকটি নমুনা। সম্প্রতি প্রথম প্রহরে মারা গেছেন মমতাজ বেগম। যিনি বর্তমানে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন। পূর্বে পেশায় শিক্ষক ছিলেন এবং আইনজীবীও ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা ছিলেন। যিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছিলেন।
তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের সর্ব মহলে সমাদৃত এবং সম্মানিত। তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ), স্বাধীন বাংলাদেশে গণপরিষদের সদস্য (এমসিএ) এবং ১৯৭৩ সালে সংসদ সদস্য ছিলেন মমতাজ বেগম। তাছাড়াও তার ব্যক্তিগত গুণাবলীর জন্য সবার কাছেই তিনি পরম শ্রদ্ধেয় ছিলেন।
অথচ তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই তার সব পরিচয় বিলুপ্ত হয়ে কেবল তিনি ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জনাব সৈয়দ রেজাউর রহমান সাহেবের স্ত্রী’ এসবই লেখা হচ্ছে। অথচ আমার জানাবোঝা মতে, সৈয়দ রেজাউর রহমান স্যার অনেকটাই মমতাজ আপার আলোয় আলোকিত ছিলেন। আপার আত্মার জন্য শান্তি কামনা করি। ফেসবুক থেকে
Leave a Reply