অরবিন্দ দাস :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফসলি জমিনে কচুরিপানা গজিয়ে পড়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। বিস্তীর্ণ ফসলি জমি এখন ভাসছে কচুরিপানায়। আমন ধানের জমিতে লাগানো ফসল হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বক্সগঞ্জ, ঢালুয়া, মৌকারা ও বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল এবং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের পুরো এলাকার জমিতে লাগানো আমন ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যার পানির সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে কচুরিপানা এসে ফসলের উপর ভাসছে। অনেক চেষ্টা করেও কৃষকরা তাদের জমি থেকে কচুরিপানা সরাতে পারছে না।
ভুক্তভোগী কৃষক তাজুল ইসলাম, জহির আহম্মেদ বলেন, অনেক কষ্ট করেও তারা তাদের জমি থেকে কচুরিপানা সরাতে পারছেনা। ফলে পানির নিচে থাকা ধান গাছ দ্রুত পঁচে যাচ্ছে। করোনা কালীন সময়ে এ অঞ্চলের কৃষকরা ঋণ নিয়ে অনেক কষ্ট করে জমিনে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন। কিন্তু প্রবণ বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ধানের চারা তলিয়ে যায়। পাশাপাশি স্রোতের সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে কচুরিপানা এসে ধানের উপর ছড়িয়ে পড়েছে। এতে জনিনে লাগানো আমন ধান দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর কচুরিপানা অপসারণ করে ধানের চারা লাগানো সম্ভব হবে না। ফলে জমিগুলো অনাবাদি থেকে শত শত মন ধান উৎপাদন চরম ভাবে ব্যাহত হবে। এতে দেশে খাদ্য ঘাটতি সহ কৃষকরা আর্থিক লসে পড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কৃষকরা আরো জানান, পানি সরে গেলে কচুরিপানা গুলো মাটির সাথে জটলা বেঁধে পড়বে। যা অপসারন করা কৃষকদের পক্ষে মোটেও সম্ভব হবেনা। এতে সামনের বোরো মৌসুমে এ জমিগুলোতে বোরো ধান আবাদ করাও দুরুহ হয়ে পড়বে। তাই কৃষকরা সরকারি ভাবে কচুরিপানাগুলো অপসারণে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, কচুরিপানা অপসারণে আমাদের কোন বরাদ্ধ নেই। তবে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
Leave a Reply