নকশী বার্তা ডেস্ক : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি। অপ্রত্যাশিত মজুত, দাম বৃদ্ধি পাওয়া, উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে দরিদ্র দেশগুলো। এমন অবস্থায় বিশ্বের ২৬টি দেশ রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তার উচ্চ ঝুঁকিতে।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগাম জানিয়েছে, আফ্রিকার ইথিওপিয়া, নাইজেরিরা, মোজাম্বিকসহ অন্তত ২৬টি দেশ খাদ্য নিরাপত্তার উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। তিনটি দেশের অন্তত সাড়ে ৫ কোটি মানুষ এরই মধ্যে খাদ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন। পশ্চিম আফ্রিকার ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষের কয়েক মাসের মধ্যেই খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন পড়বে।
করোনার প্রকোপ ঠেকাতে স্কুল বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী অন্তত দেড়শ কোটি শিশুর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে গেছে। আফ্রিকার বহু দেশে অনেক শিশু দুপুরের খাবার পায় স্কুল থেকেই।
করোনায় খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে অনেক বেশি ব্যয়বহুল। ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে শিপমেন্ট কমেছে ২৫ শতাংশ। বর্তমানে প্রশান্ত মহাসাগর হয়ে কার্গো পাঠানোর খরচ পড়ছে তিনগুণ বেশি। গম উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। চাল রফতানিতে বিধিনিষেধ এনেছে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। শুধু আফ্রিকাতেই প্রতিবছর সাড়ে ৪শ’ কোটি ডলারের চাল আমদানি হয়ে থাকে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, মহামারির কারণে আফ্রিকার কৃষি পণ্য উৎপাদন ৭ শতাংশ কমবে। এদিকে পঙ্গপালের আক্রমণে পূর্ব আফ্রিকায় প্রতি বছর নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। বিশ্ব সামনে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদরা।
Leave a Reply