নকশী বার্তা ডেস্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন যেমন দেখেছেন, ঠিক তেমনি দেশকে সাজাতে কিছু ভিশনারি চিন্তাও করে রেখেছিলেন। তাই দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন এ দেশের দায়িত্ব নেন, তখন মিল্ক ভিটার মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন মানুষের খাদ্য, পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও জীবনমান উন্নয়নে। মিল্ক ভিটা জাতির জনকের তেমনি একটি অনবদ্য প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে আজ দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক উপকৃত হচ্ছে, নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মিল্ক ভিটা ভবনে জাতীয় মিল্ক ইউনিয়নের ৪০তম সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ শাসন করেছেন। এই তিন বছরে তিনি স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণ করার প্রয়াসে যে কার্যক্রমগুলোর গোড়াপত্তন করেছিলেন, আমরা আজ তারই প্রতিনিধি হিসেবে সেগুলো বেগবান করার লক্ষ্যে কাজ করছি। ঘাতকরা সেই দিন বঙ্গবন্ধুর রক্তে দেশকে রঞ্জিত না করলে, এ দেশ অনেক আগেই উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে পারত। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। খুব শিগগির আমরা মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে প্রবেশ করবো।
এ সময় মন্ত্রী সারা দেশ থেকে আগত মিল্ক ভিটার খামারিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় খামারিরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। বার্ষিক সাধারণ সভার শুরুতে মিল্ক ভিটার গত এক বছরের বাষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) অমর চান বনিক।
বক্তব্য দেন রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন এমপি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল আহসান। সভার দ্বিতীয় পর্বে খামারিদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে মিল্ক উইনিয়ন।
Leave a Reply