নকশী বার্তা ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী ১৪ মাস পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।
বুধবার অনলাইনে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৮ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
রিজার্ভের অর্থ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে কি না- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের যদি ভালো এবং সরকারের স্পন্সর প্রজেক্ট থাকে সে ধরনের প্রজেক্টে যদি অর্থায়ন করি, একদিকে আমাদের ঋণ বাড়ল না আরেক দিকে আমাদের টাকা নিজের ঘরেই রয়ে গেল এবং আমরা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারলাম।’
তিনি বলেন, ‘এখন নভেম্বর মাস, এরপর ডিসেম্বর, এর পরবর্তী ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ১৪ মাসের ভেতরে বাংলাদেশের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ হবে ইনশাআল্লাহ ৫০ বিলিয়ন ডলার।’
রিজার্ভ ব্যবহারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লোন দেয়ার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এখানে কোনো অবস্থান নেই, কারণ আমি টাকা নেবও না ব্যয়ও করব না। এটি পরিকল্পিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমার্শিয়ালি বেনিফিট হই সেভাবে কাজে লাগানো হবে।’
আজকের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মোট ৮টি প্রস্তাবের অনুমোদন হয়। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগ গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) ২০২১ সালে প্রক্রিয়াকরণের জন্য ১৩ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয়, বিআরটিএ’র আওতায় পাঁচ বছর মেয়াদে ঢাকা মেট্রো-১ অফিসে ১২ লেন বিশিষ্ট ভিআইসি (ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টার) স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, হার্ডওয়ার ইত্যাদি সরবরাহ, স্থাপন, পরিচালনা, মেইন্টেনেন্স ও মেয়াদ শেষে হস্তান্তরের জন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেডকে নিয়োগের অনুমোদন ইত্যাদি।
Leave a Reply