1. [email protected] : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. [email protected] : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. [email protected] : nakshibarta24 :
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়নের বিস্ময় লাকসাম পৌর শহর

  • প্রকাশকালঃ রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০
  • ৫৭৯ জন পড়েছেন

মোজাম্মেল হক আলম  :


কসময়ের উন্নয়ন বঞ্চিত লাকসাম পৌর শহর এখন উন্নয়নের বিস্ময়। গত ৫ বছরে পরিকল্পিত নগরায়ন আর অভূতপূর্ব উন্নয়নে পাল্টে গেছে এ পৌর শহর। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও ক্ষমতাসীন দলের মেয়র না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে লাকসাম পৌরসভা উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলো। সে সময় যথাযথ নাগরিক সেবা পায়নি পৌরবাসী। ২০১৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে পরিকল্পিত নগরায়ন আর অভূতপূর্ব উন্নয়নে পাল্টে গেছে এ পৌর শহরের পূর্বেকার চিত্র।

‘পরিবর্তনের অঙ্গিকার, উন্নয়নের খুলবে দ্বার’ এ স্লোগান নিয়ে ২০১৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোঃ আবুল খায়ের। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপির দিক-নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে গত ৫ বছরে তিনি লাকসাম পৌর এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে পাল্টে দিয়েছেন উন্নয়ন বঞ্চিত লাকসাম পৌর শহরের পূর্বেকার চিত্র।

চলমান উন্নয়ন প্রসঙ্গে লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ‘কুমিল্লা জেলার মধ্যে লাকসাম পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। ব্যবসায়িক দিক থেকেও এ পৌরসভা সুপরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকে অংশগ্রহণ করে পৌরবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত হই। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপির নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে গত ৫ বছরে আমি লাকসাম পৌর এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে যে উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা পাওয়ার কথা ছিল, গত ৫ বছরে পৌরবাসী তা শতভাগ পেয়েছে।’

মেয়র অধ্যাপক মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রিয়নেতা মোঃ তাজুল ইসলাম মহোদয়ের উন্নয়ন ভাবনা ও পরিকল্পনা মোতাবেক আমি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পৌর নাগরিকদের সেবার মান বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের পাশাপাশি ঋণগ্রস্থ পৌরসভাকে একটি স্বাবলম্বি পৌরসভায় রূপান্তরিত করেছি। পৌর ভবনে সিটিজেন চার্টার, তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্র, নারীদের সেবা গ্রহণের সুবিধার্থে নারী কর্ণার, পৌর ডিজিটাল সেন্টার এবং বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করেছি। নাগরিক সনদ, পানির বিল, পৌরকর, ট্রেড লাইসেন্সসহ যাবতীয় হিসাব বিবরণী কম্পিউটারাইজড পদ্ধিতিতে সরবরাহ ও সংরক্ষণ এবং পৌর নাগরিকদের জ্ঞাতার্থে পৌরসভার বিভিন্ন সেবা ও তথ্যাদি পৌরসভার ওয়েব সাইটে নিয়মিত প্রকাশের ব্যবস্থা করেছি। আমি সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রশাসনিক দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে নাগরিকদের সেবাদানে কাজ করছি। ইতোমধ্যে লাকসাম শহরকে যানজটমুক্ত করে উচ্ছেদকৃত ফুটপাতের দোকানদারকে পৌর হকার্স মার্কেটে পুনর্বাসন, পৌর এলাকার গরীব-দুঃস্থদের মাঝে আার্থিক সাহায্য প্রদানসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্যে বিভিন্ন সড়ক, বাসা-বাড়ী, হোটেল-রেস্তোরা, কাঁচাবাজার, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বর্জ্য যথাসময়ে অপসারণের ব্যবস্থা করেছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ৫’শটি ডাস্টবিন স্থাপন করেছি। বাংলাদেশ সরকার, এডিবি ও ডিএফআইডি-এর আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ইউজিআইআইপি-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে পৌর এলাকায় রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত, বঙ্গবন্ধু পৌর অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার, ওভারহেড ট্যাংক, ৩টি পাম্প হাউস ও ১৮ কিলোমিটার পানি সরবরাহ লাইন, ২ হাজার পানির মিটার স্থাপন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, খান্দানী মার্কেট এলাকায় ফুটপাতসহ লেকের সৌন্দর্য্য বর্ধন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ৫০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া এলজিইডি’র গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় ২৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা, ড্রেন নির্মাণসহ ডাকাতিয়া নদীর উপর ৩টি দৃষ্টিনন্দন আরসিসি আর্চ গার্ডার ব্রীজ নির্মিত হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর ভবন আধুনিকায়ন ও তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুম নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশ জলবায়ূ পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২ কোটি ব্যয়ে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ৩৫৪টি সোলার ষ্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে পৌর এলাকায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ৩৫৬ কিলোমিটার পানি সরবরাহ পাইপ লাইন, ৩টি পাম্প হাউজ ও ৭৫টি মিনি ওয়াটার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে বিগত ৫ বছরে কাঁচা-পাকা রাস্তা, ড্রেন ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৌন্দর্য্য বর্ধন, নারীবান্ধব ঘাট, পাবলিক টয়লেট, যাত্রী ছাউনি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী অভিভাবকের জন্য অপেক্ষাগার নির্মাণ করা হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশক্রমে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি হাইফ্লো অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম এবং স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপন করা হয়। ইতোমধ্যে বিএমডিএফ প্রকল্পের অর্থায়নে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেনের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। একটি পরিকল্পিত নগর গড়তে লাকসাম পৌরসভার মাষ্টারপ্ল্যান হালনাগাদের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের খাল-পুকুর প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঐতিহাসিক জগন্নাথ দিঘী, গাজীমুড়া মাদরাসা দিঘী ও নওয়াব ফয়জুন্নেছার চার ঘাটলা পুকুর পাড়ের সৌন্দর্য্য বর্ধনের পাশাপাশি ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান এবং কুমিল্লা জেলার ৫ পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা, ড্রেনসহ পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সমূহের বিভিন্ন প্রকল্পসহ ইউজিআইআইপি-৪ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সকল শর্ত পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এ সকল প্রকল্পে লাকসাম পৌরসভাকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
লাকসাম পৌর শহরের পূর্বেকার রূপ পরিবর্তন তথা অভূতপূর্ব উন্নয়ন প্রসঙ্গে পৌর শহরের প্রবীণ নাগরিক ফিরোজ উদ্দিন, সোলাইমান মিয়া ও আব্দুর রবের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ‘গত ৫ বছর যাবৎ আমাদের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি সাহেবের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে আমাগো পৌর মেয়র অধ্যাপক মোঃ আবুল খায়ের লাকসাম পৌরসভাকে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন।  অফিস টাইমের বাইরেও মেয়র আবুল খায়ের পৌর উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং পৌরবাসীর যাবতীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করেন। জনগণের বন্ধু মেয়রের ভালোবাসায় ঘরে বসেই উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে পৌরবাসী।’
গত নির্বাচনের পূর্বে পৌরবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি নিজের দক্ষতা, সততা ও আন্তরিকতা দিয়ে শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন দাবি করে লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ‘দল ও পৌরবাসী চাইলে আমি আসন্ন পৌর নির্বাচনে পুনরায় অংশ নিতে প্রস্তুত। আমি আশাবাদী দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে আমার গত ৫ বছরের সার্বিক কর্মকান্ড বিবেচনা করে পৌরবাসী আমাকে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ দেবেন।’

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম