নকশী বার্তা ডেস্ক : জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য এবং সরকার অনুমোদিত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যাচাই করেই ভাতাপ্রাপ্ত সব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম এমআইএসে তোলা হয়েছে গত অক্টোবরে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বছরের পর বছর ধরে জেলা প্রশাসনের তালিকার ভিত্তিতেই ১ লাখ ৯২ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা পাঠানো হতো। কিন্তু এমআইএসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার পর সংখ্যাটি ১ লাখ ৭১ হাজার হয়ে গেছে।
২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসিক ১২ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন। এর আগে ছিল ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে দুই ঈদে ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা, ৫ হাজার টাকা বিজয় দিবসের ভাতা এবং ২ হাজার টাকা বাংলা নববর্ষ ভাতা পান বীর মুক্তিযোদ্ধা। বছরে একজন সব মিলিয়ে ভাতা পান ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। যদি অনিয়ম করে ২০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা এক বছর ভাতা নিয়ে থাকেন, তাহলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩৪২ কোটি টাকা। পাঁচ বছরে এই ক্ষতির পরিমাণ হবে কমবেশি প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনজন কর্মকর্তা জানান, অনেকে শুধু বেসামরিক গেজেট দিয়ে জেলা পর্যায়ে তালিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। আবার কেউ কেউ একাধিকবার বিভিন্ন তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যে কারণে এমআইএসে তাঁদের নাম দ্বিতীয়বার অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কেউ কেউ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সবুজ মুক্তিবার্তা দেখিয়ে ভাতা তুলেছেন। কারও কারও সনদ জাল বা তথ্য ত্রুটিপূর্ণ, যা এমআইএসে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এমআইএসে যাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, শুধু তাঁদের গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের ভাতা জেলা প্রশাসকের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে সরাসরি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক হিসাবে ভাতা জমা হবে। সঙ্গে ভাতা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে মুঠোফোনে খুদে বার্তাও যাবে।
Leave a Reply