1. [email protected] : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. [email protected] : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. [email protected] : nakshibarta24 :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে

  • প্রকাশকালঃ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৬৪ জন পড়েছেন

নকশী বার্তা ডেস্ক : ঢাকা- চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেনটি চালুর প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ। নকশা তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। যার ফলে বুলেট ট্রেনের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উচ্চগতির এ রেলসেবা চালু হলে ৬ ঘণ্টা নয়, ননস্টপে মাত্র ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে এবং দিনে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। এর জন্য একজন যাত্রীর ২ হাজার টাকার মতো ভাড়া গুনতে হবে। রুট ম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তাবিত রেলপথে মোট ছয়টি স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলী ও চট্টগ্রাম।

এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন গণমাধ্যমকে বলেন, ডিসেম্বরের দিকে চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশনের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসে নকশা চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন। তারপর ব্যায়ের বিষয়টি নির্ধারণ করে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য যাবে। অনুমোদন পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটের ৩২১ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। তবে উচ্চগতির রেলপথটি আগের রেলপথের চেয়ে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার কম হবে। এক্ষেত্রে উচ্চগতির রেলপথ দাঁড়াবে ২২৭ কিলোমিটার।

বর্তমানে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলী ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব দাঁড়ায় ৩২১ কিলোমিটার। উচ্চগতির ট্রেনের জন্য ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা রুটটি ব্যবহার করা হবে না, সরাসির ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ তারপর কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বুলেট ট্রেন। এক্ষেত্রে ৯৪ কিলোমিটার পথ কম পাড়ি দিতে হবে ট্রেনটির।

প্রকল্পটির জন্য ৬৬৮ দশমিক ২৪ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে, ফলে এটি বাস্তবায়নে রেলওয়েকে ৪৬৪ দশমিক ২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।

প্রকল্পের পরিচালক মো. কামরুল আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রকল্পটির ডিজাইনের কাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। ডিজাইন চূড়ান্ত অনুমোদন হলে ব্যয়ের বিষয়ে জানা যাবে। বুলেট ট্রেনটি চালু হলে চট্টগ্রাম-ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্রই পাল্টে যাবে। ননস্টপে মাত্র ৫৫ মিনিটে ও স্টেশনে থামলে ৭৩ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বুলেট ট্রেনটি চালু হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা নয়, বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বিরাট ভূমিকা পালন করবে। কীভাবে দ্রুত কাজ শেষ করা যায়, এ বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের মার্চে অনুমোদন পাওয়া এ ট্রেনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ। চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন এবং বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটি করেছে। বর্তমানে এর বিশদ নকশা তৈরির কাজ চলছে। যার জন্য ব্যয় হবে শত কোটি টাকার বেশি। জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্পটির নকশা তৈরির কাজও শেষ হবে।

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম