1. [email protected] : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. [email protected] : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. [email protected] : nakshibarta24 :
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
পিপলস অ্যাডাপটেশন প্ল্যানস ফর ইনক্লুসিভ ক্লাইমেট স্মার্ট সিটিস’ প্রশিক্ষন লাকসামে ইংরেজি দৈনিক প্রেজেন্ট টাইমস পত্রিকার ১০ম পুর্তি উদযাপন মানবিক সমাজ গঠনে দেশের সকল মানুষের সহযোগিতা চাই -ডা.শফিকুর রহমান দেশে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারত পানি না দিলে জাতিসংঘে যাবে বিএনপি: তারেক রহমান বিএনপি মহাসচিবের জনসভা সফল করতে লাকসামে সংবাদ সম্মেলন  বর্ণাঢ্য আয়োজনে লাকসামে যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উদযাপন ১৭ বছরের জটবাঁধা বিরোধের অবসান : লাকসামের বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা একট্টা বিজয় দিবসে ভবিষ্যত বাংলাদেশ নিয়ে তারেক রহমানের বার্তা বিজয় দিবসে ছাত্রশিবিরের র‍্যালি

কোরআন: বিশ্ব শান্তির পবিত্র বৃক্ষ

  • প্রকাশকালঃ বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৪১ জন পড়েছেন

মাহমুদ আহমদ :

বিশ্বের প্রতিটি মানুষের আশা-আকাঙ্খা মূলত একটিই আর তা হল শান্তি অর্থাৎ শান্তিতে বসবাস করা। শান্তির এই অভিযাত্রা এক ব্যক্তি সত্তা থেকেই শুরু হয়। এর বীজ মূলত প্রথমে মানুষের হৃদয়ে বপন করা হয়। এটি যখন বর্ধিত হয় তখন সেই ব্যক্তির পরিবার শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করে।

এরপর এটি পারিবারিক জীবনকে ছাড়িয়ে শান্তির এই কল্যাণ সমাজে এবং চারপাশে বিস্তার লাভ করে। এর পরবর্তী ধাপ জাতীয় শান্তি ও নিরাপত্তা হয়ে থাকে যা অবশেষে আন্তর্জাতিক শান্তির রূপ ধারণ করে নেয়।

এটি কোন ধারণাপ্রসূত ও কাল্পনিক ফর্মূলা নয় বরং এটি এমনই সত্য যার প্রকাশ পুরো বিশ্বে দৃষ্টিগোচর হয়। তাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি নিশ্চিত করতে হলে প্রথমে নিজ পরিবার থেকে এর উদ্যোগ নিতে হবে এবং পবিত্র কোরআনের শিক্ষা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে।

পৃথিবীর সর্বত্র যে অশান্তি বিরাজ করছে এর জন্য আমরা প্রত্যেকেই দায়ী। কেননা, আজ আমরা পবিত্র কোরআনের শিক্ষা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। শান্তির জন্য চাই শান্তির বৃক্ষে আশ্রয় নেয়া আর এ শান্তির বৃক্ষ হচ্ছে পবিত্র কোরআন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে এক নূর এবং উজ্জ্বল কিতাবও। এর মাধ্যমে আল্লাহ সেসব লোককে শান্তির পথে পরিচালিত করেন, যারা তার সন্তুষ্টির পথে চলে। আর তিনি নিজ আদেশে তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান এবং সরলসুদৃঢ় পথে তাদের পরিচালিত করেন’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ১৫-১৬)

পবিত্র কোরআন মজিদ শান্তির বীজ হিসাবে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্বে পূর্ণ ঈমান আনাকে উপস্থাপন করেছে।

এর এর স্পষ্ট প্রমাণ হলো, যারা আল্লাহতায়ালার অস্তিত্বে জীবন্ত ঈমান রাখে তারা কখনও অস্থিরতা, অস্বস্তি বা মানসিক চাপের ততটুকু শিকার হয় না যাতে নিজের জীবন সম্পর্কেই নিরাশ হয়ে যেতে হয়।

আমরা দেখি, সেসব মনোনীত ব্যক্তি যাদেরকে আল্লাহতায়ালা নিজে বেছে নিয়ে নবুয়্যতের মর্যাদায় ভুষিত করে তাদের হৃদয়ে এমন শান্তি ও প্রশান্তি ভরে দেন যে, পার্থিব জগতের শত বিরোধিতা এবং বিপদাপদের ঝড়-তুফান সত্ত্বেও তারা সর্বদা আল্লাহতায়ালার আঁচলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার ফলে শান্তি ও নিরাপত্তার জান্নাতে জীবন কাটান।

পৃথিবীর ইতিহাসে একজন নবীও (আ.) এমন অতিবাহিত হননি যিনি পরিস্থিতির শিকার হয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বা তার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।

যেহেতু তাদের হৃদয় সর্বদা স্থায়ী শান্তি ও স্বস্তির আবাসস্থল হয়ে থাকে, তাই তাদের হৃদয়কে আল্লাহতায়ালা সর্বদা আলোকিত রাখেন। প্রত্যেক উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সময় রহিম ও করিম আল্লাহর রহমতের ছায়া তাদের মাথার ওপর বিরাজ করে এবং সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতাবলে তাদের তত্তাবধান করেন।

পবিত্র কোরআন মাজিদ এই মৌলিক বিষয়টিকে এভাবে বর্ণনা করেছে, ‘হৃদয়ে প্রকৃত ও সত্যিকারের শান্তি ও স্বস্তি আল্লাহতায়ালার স্মরণেই পাওয়া সম্ভব’ (সুরা রাদ: আয়াত ২৮)।

আর আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করার সম্পদ আল্লাহতায়ালার সত্তায় পূর্ণ ঈমান রাখার ফলেই পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে, হৃদয়ে যদি আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকে এবং দৃঢ় বিশ্বাস সৃষ্টি হয়ে যায় তাহলে এটিই সেই ব্যবস্থাপত্র যা বিশ্ব শান্তির নিশ্চিত ও সত্যিকার মাধ্যম।

সমাজে বসবাসকারী সব সদস্যদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা এবং শান্তি ও নিরাপত্তার আচরণ অবলম্বন করার বিষয়ে মহানবী (সা.) ইসলামি শিক্ষামালার সারাংশ এভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সে-ই, যার কথা এবং হাত থেকে কোন মানুষ কোনরূপ কষ্ট বা ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয় না’ (সুনানে নিসাই, কিতাবুল ঈমান)।

এই ভাষ্যে মুসলমান, অমুসলমান, বর্ণ ও জাত বা পূর্বসূরির সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনো তারতম্য করা হয়নি।

এই সুপ্রতিষ্ঠিত ভিত্তিতে গড়ে উঠা সমাজ উন্নতি করে জাতীয় শান্তি ও নিরাপত্তার জামিনদার হয়ে যায় এবং অবশেষে যদি বিশ্বের সকল রাষ্ট্র নিজ নিজ স্বার্থের উর্ধ্বে গিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এসব মূলনীতিতে সংঘবদ্ধ হয়ে যায় এবং কোরআনি শিক্ষামালাকে পথ-নির্দেশক বানিয়ে এসব মূলনীতি বাস্তাবায়ন করে তাহলে দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে বলা যায়, বিশ্বশান্তি পুরো বিশ্বের ভাগ্যে অবশ্যই জুটবে।

পবিত্র কোরআন পারস্পারিক সম্মান, ভক্তি ও মর্যাদা প্রদর্শনের বিষয়ে কতই না উত্তম শিক্ষা দিয়েছে, পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে যারা ঈমান এনেছো! (তোমাদের) কোন জাতি অন্য কোন জাতিকে উপহাস করবে না। হতে পারে তারা এদের চেয়ে উত্তম।

আর নারীরাও অন্য কোন নারীদের (উপহাস করবে) না। হতে পারে তারা এদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা নিজেদের লোকদের অপবাদ দিয়ো না। আর নাম বিকৃত করে তোমরা একে অন্যকে উপহাস করো না। ঈমান (আনার) পর দুর্নামের ভাগীদার হওয়া অবশ্যই মন্দ। আর যারা অনুতাপ করে না তারাই দুস্কৃতকারী’ (সুরা হুজরাত, আয়াত: ১২)।

আরেকটি দোষ যা পুরো বিশ্বের শান্তি বিনষ্ট করে রেখেছে তা হলো মিথ্যা ও ভ্রান্ত বর্ণনা। সব শ্রেণিতে এই দোষটি এমনভাবে বিস্তার লাভ করেছে যে, মানুষের স্বভাবে এটি মায়ের দুধের মত মিশ্রিত হয়ে গেছে।

এর ফলশ্রুতিতে মানুষের মাঝে এবং জাতিতে জাতিতে পারস্পরিক আস্থা উঠে গেছে। কপটতা এবং প্রতারণা সমাজে এমনভাবে ঢুকে গেছে যে, বড় বড় দেশ গরিব দেশগুলোকে সহমর্মিতার নামে সাহায্য দেয়ার সময় বিভিন্ন শর্তারোপের বাহানায় সর্বদার জন্য তাদেরকে নিজেদের হীন গোলাম বানিয়ে নেয়।

এই দোষটি ব্যক্তিগত শান্তি এবং আন্তর্জাতিক শান্তিকে উইপোকার মত কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
পবিত্র কোরআন এই দোষকে কঠোরভাবে তিরস্কার করে। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর সর্বদা সোজা সরল কথা বল’ (সুরা হাজ, আয়াত: ৩১)।

আমরা যদি পবিত্র কোরআনের শিক্ষামালা অনুযায়ী চলতাম তাহলে পৃথিবীর অবস্থা আজ এমন হত না। পবিত্র কোরআনের এই নীতি পুরো বিশ্বে শান্তির জন্য এক স্বর্ণালী নীতি।

সততার সঙ্গে যদি এর ওপর আমল করা হয় তাহলে এই প্রশ্নই উঠে না যে, কোন রাষ্ট্র অন্য কোন রাষ্ট্রের বিষয়াদিতে হস্তক্ষেপ করবে এবং এই বাহানায় তাদের সম্পদের ভাণ্ডার হরণ করবে বা এগুলোকে নিজের করায়ত্বে নিয়ে নিবে।

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে যেসব শিক্ষা বর্ণনা করেছেন এগুলো সেসব চমৎকার শিক্ষামালার খুবই সংক্ষিপ্ত সামগ্রিক একটি চিত্র। এতে মুসলমানরাও সম্বোধিত এবং বিশ্বের অন্যান্য লোকেরাও সম্বোধিত।

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সত্যিকারের আকাঙ্খী ও আগ্রহী প্রত্যেক ব্যক্তি এসব শিক্ষার সম্বোধিত।

বর্তমান যুগের সংকটাপন্ন পরিস্থিতি দাবি করে, পবিত্র কোরআনের এসব শিক্ষামালাকে যেন হৃদয়ে গেঁথে নিয়ে কার্যে বাস্তবায়ন করা হয়, যেন সারা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার ক্রোড়ে আশ্রয় নেয়।

তাই আসুন! আমরা সবাই সবার স্থানে থেকে সমাজ ও দেশে শান্তির জন্য কাজ করি আর সে কাজ প্রথমে শুরু করি নিজ পরিবার থেকে।

সমাজ ও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এমন কোন কাজ যেন কারো দ্বারা সংঘটিত না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকি।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম