মোঃ দলিলুর রহমান-মানিক :
৮ বছর পেরিয়ে ৯ম বর্ষে পা রাখল “নকশী বার্তা”। সত্য ও ন্যায় প্রকাশের অঙ্গিকার নিয়ে ৮ বছর আগে যে পথ চলা শুরু করেছে নকশী বার্তা তা পাঠকের ভালোবাসায় আজও অব্যাহত।
পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পত্রিকার সম্পাদক সাংবদিকদের মধ্যে একটি জায়গায় দারুণ মিল রয়েছে। চেয়ারম্যান, মেম্বাররা শালিসে যেভাবে বাদী-বিবাদী দুই পক্ষকেই নিরপেক্ষ বিচার করতে গিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেন না, তেমনি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন তৈরী করতে গেলে সংবাদটিতে কেউ খুশি হলেও কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অথবা কোনো গোষ্ঠী বিশেষের মনোক্ষুন্ন হতেই হয় প্রতিনিয়ত। তবু আমাদেরকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক লোকদের মোকাবেলা করেই চলতে হয়। জানি, এই পথে আছে বাধা, আছে বিপত্তি। সেই শত বাধা-বিপত্তির মোকাবেলার সৎ সাহস নিয়েই সমাজের দর্পণ জাতীয় চতুর্থ স্তম্ভের এই অলাভজনক পথকে বেছে নিয়েছি। সঙ্গতকারণেই পত্রিকার শ্লোগান দিয়েছিলাম “সত্য ও ন্যায়ের প্রতিচ্ছবি”। অগাধ ধন-সম্পদ কামানোর খেয়ার থাকলে পত্রিকা জগতে আসতাম না। ব্যয়বহুল এই আধুনিক যুগে পত্রিকা চালানো সহজ কথা নয়। তবু অনেক পত্রিকার ভীড়ে “নকশী বার্তাকে” ধারাবাহিক প্রকাশনায় টিকিয়ে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। প্রতিযোগিতার এই ভীড়ে “নকশী বার্তা” কতটুকু এগিয়েছে বা কতটুকু সফল তার বিচার-বিশ্লেষন আপনাদেরই হাতে। প্রকাশনার শুরু থেকে এই নাতিদীর্ঘ যাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা পেয়েছি অসংখ্য পাঠক-পাঠিকার আকুন্ঠ সমর্থন। স্বল্প এই সময়ে প্রচার সংখ্যার যে শিখরে নকশী বার্তা পৌঁছেছে, তার শতভাগ কৃতিত্ব পাঠক-পাঠিকাদেরই। আপনাদের আকুন্ঠ ভালোবাসা ও প্রেরণায় আমরা অভিভূত। ৮ বছরের নানা ধাপে অগণিত শুভার্থী আমাদের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের সহযোগিতার হাত, আবেগে ও ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন সমাজের নানা স্তরের মানুষ। আমাদের পেশাগত কাজ ও বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগে তারাই ছিলেন আমাদের প্রধান সহযোগী। সামান্যতম সাফল্যও যদি “নকশী বার্তা” আজ অর্জন করে থাকে এর ভাগীদার পাঠক ও উৎসাহ-প্রেরণাদায়ী সহযোগীরাই।
“নকশী বার্তা” সবসময় আপনাদের পক্ষে থাকার সংকল্পে আবদ্ধ। এইভাবে আপনাদের চাই অব্যাহত উৎসাহ-উদ্দীপণা ও পাশে থাকা। আমি পত্রিকার প্রতিটি সাংবাদিক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, সংবাদ বাহক, সর্বোপরী পত্রিকাটির সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকল পাঠক, পাঠিকাদের জানাই আমার সালাম, শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।
Leave a Reply