রাজশাহী প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আমগাছগুলো মুকুলে ভরে গেছে। বসন্তে নানা ফুলের সঙ্গে সৌঁরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। আর এই মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মনকে করে তুলছে আরো প্রাণবন্ত।
সরেজমিন বাঘার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের ঘ্রাণ। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন আম বাগান মালিকরা।
মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকাররের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে।
বাগান মালিক মো. হাসমত খান জানান, এক সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাগানে লাগনো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ গাছ মুকুলে ধরেছে। তিনি জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তিনি গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আমের রাজধানী হিসাবে খ্যাত জেলার বাঘায় আট হাজার ৩৬৮ হেক্টর আম বাগান রয়েছে। সেখানে রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক জাতের আম। সব জাতের আম মিলিয়ে এবার বাঘায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, বৈজ্ঞাননিক পদ্ধতিতে আম চাষ করলে এর উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমন সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং পরিবহন, রপ্তানিকসহ বাজারজাত করলে কৃষকরা ব্যপক হারে লাভবান হবেন।
Leave a Reply