ছবি : স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
মোজাম্মেল হক আলম :
রাজনীতি ও সামাজিক অঙ্গণে সততা ও ন্যায় নীতির অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে যাচ্ছেন কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে বার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। বার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হওয়া স্বত্তেও তিনি অগাধ সম্পত্তির মালিক হননি। ক্ষমতার অপব্যবহারও করেননি কখনো। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতে, এ অঞ্চলের বিগত দিনের রাজনীতিক ব্যক্তিদের তুলনায় মোঃ তাজুল ইসলামের সততা ও দক্ষতা রীতিমত রূপকথার পর্যায়। গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কুমিল্লার লাকসাম-মনোহরগঞ্জে জনপ্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছেন।
সম্ভ্রান্ত পরিবারে ধর্মীয় অনুশাসনে বেড়ে ওঠা মোঃ তাজুল ইসলাম সাফল্যের শিখরে আরোহণ করেও আত্মকল্যাণে মনোনিবেশ না করে জনকল্যাণে নিবেদিত করেছেন নিজেকে। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দেশব্যাপী নিজের সততা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রামকে শহর করার আন্দোলনে নির্ভীক নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কুমিল্লার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা এ সংগ্রামী রাজনীতিবিদ নিজের সততার প্রতিফলনে দেশব্যাপী সমাদৃত হয়েছেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে নিজের উত্থান প্রসঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। বার বার নির্বাচিত হওয়ার রহস্য জানতে চাইলে উপস্থাপকের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘এলাকার মানুষের সাথে আমার নাড়ীর সম্পর্ক রয়েছে। পল্লী অঞ্চলে আমার জন্ম। ছোট বেলা থেকেই ওই এলাকার আলো-বাতাসে আমি বড় হয়েছি। মানুষের সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েও সাধারণ মানুষকে আমি ভুলিনাই। প্রথমবার নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরেই আমি স্বাভাবিক ভাবে প্রত্যক্ষ করেছি যে মানুষ স্বতঃফূর্ত ভাবে আমাকে সমর্থন করে গেছে। আমি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার পর এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও এলাকার সার্বিক অবস্থার উন্নয়নসহ আগামী প্রজন্মকে সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করেছি। যার ফলে আমার এলাকার মানুষ আমাকে আরো বেশি বিশ্বাস করে। আমি জানি দলগত ভেদাভেদের কারণে যারা আমাকে ভোট দেয় না, তারাও আমাকে মন থেকে ভালোবাসে। আমি আমার অঞ্চলের মানুষের আপন হতে পেরেছি বলেই তারা আমাকে বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে।’
অনুষ্ঠানে অতীতের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক জীবনে আমি উপার্জনক্ষম হওয়ার পর আমার উপার্জিত টাকা বাবার হাতে দেয়াকে আমি সার্থকতা মনে করতাম। বাবা একবার আমাকে বলেছিলেন, তোমার উপার্জিত টাকায় যদি সন্দেহ থাকে, তুমি তা আমাকে দিও না। সেসময় থেকেই আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, যে টাকা বাবার হাতে দেয়া যাবে না, সে টাকা আমার কখনো উপার্জন করারও দরকার নেই।’
Leave a Reply