মোজাম্মেল হক আলম, লাকসাম :
আজ থেকে ৫০ বছর আগে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতি কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম লাভ করে বাংলাদেশ নামে উন্নত রাষ্ট্র। স্বাধীনতা দিবস, এই দিনটি বাঙালি জাতির সংগ্রামমুখর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। ১৯৭১ সালের এই দিন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ মার্চ) সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার লাকসামেও মহামারী করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তিগত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকালে উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনার, বেলতলী বধ্যভূমি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে কুচকাওয়াজ, প্যারেড, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর যাবতীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. ইউনুছ ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সাইফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজালা রানী চাকমা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রফিকুল ইসলাম হিরা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়শী সাহা, লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোহর আলী তোতা, আবুল হোসেন ননী, ইলিয়াস মিয়া, সিরাজ মিয়াসহ রাজনীতিক ও সামাজিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ।