জাকির মামুনঃ
করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে , দেশের জনগনকে সুরক্ষিত রাখতে ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনস্বরুপ প্রায় দুই মাসের সাধারণ ছুটি শেষ হয়েছে আজ। আগামীকাল থেকে সরকারী নির্দেশ মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হচ্ছে অফিস, আদালত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরণের প্রতিষ্ঠান।
দেশের করোনা পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে শনিবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফ্যান পেজে ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের যুক্ত হন নড়াইল ২ আসনের সাংসদ, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। আলোচনায় আরও ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান ও টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা করতে প্রয়োগ হবে কঠোর আইন এমন বিষয়টি আলোচনার মুল বিষয়ে পরিণত হয়।
কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই আইন কতটা মেনে চলবে সেটাই বিবেচ্য বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে৷
তবে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদষ্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার মনে করেন, আইন প্রয়োগে শাস্তি বা জরিমানা দিয়ে খুব বেশি কিছু করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘শাস্তি দিয়ে তো সব সময় আপনি সব কিছু করতে পারবেন না। এটা শাস্তির বিষয় না।’
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে লক-ডাউন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে সরকারকে ধন্যবাদ জানান মাশরাফি। তবে সরকার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের দেওয়া বিধি-নিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
‘অর্থনীতির চাকা ঠিক রাখার জন্য, সবাই মিলে যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে, এটা সময়ের ব্যাপারই ছিল। পরবর্তী এক বছর যদি এমন পরিস্থিতি থাকে তাহলে আমাদের কোনো না কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে হত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতেন।’
যে যার কাজ শেষ করে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য দেশের মঙ্গলের জন্য দ্রুত বাসায় ফিরার তাগিদ দেন এবং অপ্রয়োজনে বাইরে যেন কেউ বের না হয় সেজন্য অনুরোধ করেন তিনি৷
‘আমার মনে হয়, এটা এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। আমি নিজে কতটা ভালো বুঝি, আমার আসলে কতটুকু সতর্কতার সাথে চলা উচিৎ সেটা বোঝা উচিৎ সবার।’
তরুণরা এগিয়ে আসলে জনসচেতনতামূলক কাজগুলো দ্রুত প্রয়োগ হবে বলে মনে করেন তিনি।
Leave a Reply