কুমিল্লার লাকসামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগে একই মাদ্রাসার শিক্ষক শরিফুর রহমান খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করে।এদিকে ওই শিশু শিক্ষার্থী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর পিতা উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম গ্রামের নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। বিবাদী শরিফুর রহমান খন্দকার একই গ্রামের মৃ. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, স্থানীয় বড়বাম মদিনাতুল উলুম জামিয়া নূরানী হিফজ মাদ্রাসায় গত তিন বছর ধরে ওই ছাত্র পড়ালেখা করছে। ওই সুবাদে ওই ছাত্রকে শরিফুর রহমান প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার মোটরসাইকেলযোগে লাকসাম বাইপাস খন্দকার মার্কেটের ৪তলার নিজ রুমে নিয়ে যায়। প্রতিদিনের মতো গত ২২জুলাই সন্ধ্যায় ওই শিশুকে নিয়ে এসে তার পায়ুপথে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বারবার ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই শিশু বাড়িতে পালিয়ে এসে পরিবারকে ঘটনাটি অবহিত করে।
শিশুর পিতা মামলার বাদী নূর মোহাম্মদ বলেন, লম্পট, ধর্ষণকারী ও খারাপ চরিত্রের লোক শরিফুর রহমান খন্দকার দীর্ঘদিন আমার শিশু বাচ্চাকে ধর্ষণ করে আসছে। আমি আইনের মাধ্যমে তার কঠিন শাস্তি দাবী করছি।
উপ-পরিদর্শক মাকছুদুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত ওই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক শরিফুর রহমান খন্দকারকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply