1. mti.robin8@gmail.com : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. newsnakshibarta24@gmail.com : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. nakshibartanews24@gmail.com : nakshibarta24 :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রিকেটার রফিক যেনো হাজী মুহাম্মদ মহসিন!

  • প্রকাশকালঃ রবিবার, ৭ জুন, ২০২০
  • ৪৩৮ জন পড়েছেন

জাকির মামুনঃ হাজী মুহাম্মদ মহসিনের দানশীলতার কথা আমরা কেবা না জানি৷নিজের সম্পদ অকাতরে মানুষের কল্যাণে ব্যয় করে গেছেন৷ অনাড়ম্বর জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি৷ বিলাসিতা কখনও ছুঁতে পারেনি৷ গরীব ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতেন বলেই যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজে উদহরণ হিসেবে হাজী মুহাম্মদ মহসিনের কথাই উঠে আসে! অর্থবিত্তের পাহাড় গড়া মানুষ দেশের অর্থপাচার করে যখন ইউরোপ , আমেরিকায় সেকেন্ড হোম গড়ে তুলেছেন, রফিক গড়ে তুলেছেন কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা৷ মানুষের কল্যাণে প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছেন তিনি৷রাজধানীর কেরানীগঞ্জে প্রতিনিয়ত নিজেকে সঁপে দিয়েছেন মানুষের তরে৷ নিজের সবচেয়ে দামি জমিটুকুতেও করে দিয়েছেন কবরস্থান,মসজিদ, মাদ্রাসা৷ রাজধানীর কেরানীগঞ্জের মত এলাকায় দেড়শ শতাংশ জায়গা সাধারণ জনতার জন্য বিলিয়ে দিয়ে মহানুভবতার অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করলেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার৷ সম্প্রতি বিডিক্রিকটাইমকে তিনি বলেন, ‘পেছনে যা করেছি তা তো চলেই গেছে। নতুন করে অনেক কিছুই করছি। আমার এক পার্টনারের সাথে মিলে দেড়শ শতাংশ জায়গায় কবরস্থান, মসজিদ এবং মাদরাসা বানিয়ে দিয়েছি। আমার নিজস্ব জায়গার উপর। এটা কেরানীগঞ্জের সবচেয়ে দামি জমির এলাকা। আরও কিছু জায়গা আছে, এর মধ্যে দশ শতাংশ জায়গা মসজিদ বানানোর জন্য রেখেছি। আরও দশ শতাংশ জায়গা রেখেছি, ওখানে স্কুল বানিয়ে দিব।’ স্বাধীনতা পরবর্তীসময়ে মানুষের দুঃখ-কষ্ট এখনও রফিককে তাড়িত করে৷ নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে হলেও নিশ্চিৎ করতে চান অসহায় মানুষের মুখে হাসি, দিতে চান খাবারের ন্যুনতম নিশ্চয়তা৷ তাই কোনো মানুষের শিক্ষা বা খাওয়ার অভাব দেখতে চান না তিনি। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর দেখেছি হাহাকার কী জিনিস। তখন যাদের পয়সা ছিল ওরাই স্কুলে যেত, ওরাই ভালো খাবার খেত। আমি চাই না এখন ওরকম পরিস্থিতি হোক। যে ভুল আমরা করেছি, এখনকার মানুষ যেন ঐ ভুল না করে।” রফিকের মনে হয়তো কিছুটা চাপা অভিমান কাজ করেছে৷ আইসিসি ট্রফি জয়ী এই প্লেয়ার অনেকটা আক্ষেপের সাথেই কিছুদিন আগেও বলেন , আমার কেউ খোঁজখবর নেয়না৷ সাবেক অনেক ক্রিকেটারই ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করলেও রফিকের তেমন সুযোগ সুবিধা নেই কিংবা পাচ্ছেন না৷ ব্যক্তিগত ব্যবসা দিয়েই সংসার চালাচ্ছেন আর মানবসেবা করে যাচ্ছেন৷ একজন অভিজ্ঞ স্পিনারের অভিজ্ঞতাটুকু কাজে লাগালে আমাদের ক্রিকেটরই মঙ্গল হবে এমনটাই মনে করেন ক্রিকেটবোদ্ধারা৷ দেশের ক্রিকেটে রফিকরা কাজ করার জায়গা পেলে নিজেদের সেরাটাই ঢেলে দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা ভক্তদের৷ ক্রিকেটার হিসেবে কোটি জনতার মন জয় করে নিয়েছেন বহু আগে৷ একজন মানবপ্রেমী রফিক এখন হতে পারে হাজারও মানুষের অনুপ্রেরণা৷

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম