নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৭-জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার মাধবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতে আহত আব্দুল মোতালেবের মেয়ে শাহিনুর আক্তার সামিয়া বাদি হয়ে ইউপি সদস্য বাবুল গাজীকে এক নাম্বার আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে নাঙ্গলকোট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এস আই মো. আনোয়ার হোসেন খন্দকার সঙ্গীয় পৌর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অন্যতম প্রধান আসামি ওই ইউপি সদস্য বাবুল গাজী আটক করে। বুধবার (৮-জুলাই) সকালে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আহতরা হলেন, ওই গ্রামের নূর ইসলাম, তার স্ত্রী জাহানারা বেগম, দেলোয়ার হোসেন, ছেলে বেলাল হোসেন, হেলাল, আবদুল মোতালেব, তার স্ত্রী আকলিমা বেগম, ছেলে আরমান, পতিপক্ষের সাহাব উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন।
তাদের মধ্যে আবদুল মোতালেব তার স্ত্রী আকলিমা বেগমকে ও ছেলে আরমানকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আব্দুল মোতালেব ও আবদুল মতিন তারা আপন দুই ভাই। মঙ্গলবার বিকেলে বাবুল গাজী মেম্বারের পিতা বজলুর রহমানের ছাগলকে মারধর করার অযুহাতে ওই ইউপি সদস্য বাবুল গাজীর নেত্বত্বে ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ এক অসহায় পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে কুপিয়ে ৮ জনকে জখম করে। অবরুদ্ধ করে রাখে পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে শাহিনুর আক্তার তানিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে বাবুল গাজীর ভাইয়েরা তাদের গৃহবন্দী করে রাখে। মঙ্গলবার সে ও তার ভাইয়েরা মিলে দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ও তার পিতা মাতা, ভাই ও ফুপুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে আহত করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বাবুল গাজী জানান, বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনার জের ধরে তারা আমার ভাই সাহাব উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শাহিনুর আক্তার সামিয়া বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার এক নাম্বার আসামি ইউপি সদস্য বাবুল গাজীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
Leave a Reply