1. [email protected] : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. [email protected] : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. [email protected] : nakshibarta24 :
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাদশা ও রাজার সঙ্গে খাসি উপহার

  • প্রকাশকালঃ সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০
  • ৩১৩ জন পড়েছেন

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি : আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নাঙ্গলকোটের গরুর খামারিরা তাদের লালন-পালনকৃত গরু বাজারে বিক্রি করা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে গরুর বাজারের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গরুর বাজারগুলোতে কোরবানির গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। নাঙ্গলকোটের রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের দাসনাইপাড়া গ্রামের খামারি মহসিনের লালনকৃত বাদশা এবং রাজা মিয়া নামে পিজিয়ান জাতের দুইটি ষাঁড় গরু এলাকায় সাড়া  ফেলেছে। গত তিন বছর থেকে নিজের খামারের উৎপাদিত বাছুর থেকে গরু দুইটি লালন-পালন করে বিক্রির উপযোগী করে তোলেন। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারের মাধ্যমে গরুগুলো বড় করেন। গরু মোটাতাজাকরণে কোনো প্রকার মেয়াদি ইনজেকশন, স্টরয়েড ওষুধসহ অন্য কোনো প্রকার ওষুধ সেবন করান নি। গরুর খাবার হিসেবে নিপিয়ার জাতের কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুষি, ডালের চামড়া, চিটা, ও দানাদার খাবার খাওয়ানো হয়।

প্রতিদিন দুইটি ষাঁড়ের পিছনে দুই বেলায় প্রায় ৪৮ কেজি খাবার খাওয়ানো হয়। ধুমাত্র খুড়া ও তড়কা রোগের জন্য ভ্যাকসিন ও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয়। একজন পশু চিকিৎসকের নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে তিনি তিল-তিল করে গরুগুলো বড় করেন। বাদশার ওজন প্রায় ৮শ’ কেজি ও রাজার ওজন প্রায় ৭শ’ কেজি বলে মহসিন জানান। মহসিন জানান, নিজের খামারের পিজিয়ান জাতের গাভীর বাচ্চা থেকে এই দুটি ষাঁড়কে লালল-পালন করেন। তিনি বাদশা মিয়ার দাম ৬ লাখ ও রাজার মিয়ার দাম ৫ লাখ টাকা হাঁকান। ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে দাম কমবেশি হতে পারে বলে মহসিন জানান। মহসিন আরো জানান, প্রতিটি ষাঁড়ের সঙ্গে ক্রেতাদের উপহার হিসেবে দুইটি খাসি দেবেন। তিনি ক্রেতাদের সুবিধার্থে ঈদের দিন পর্যন্ত নিজ খরচে ষাঁড় দুইটি নিজের বাড়িতে রাখবেন বলে জানান। ক্রেতারা ঈদের দিন তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গরুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে হতাশ থাকলেও মহসিন তার গরু ভালো দামে বিক্রি নিয়ে আশাবাদী। মহসিনের গত প্রায় ১৫ বছর থেকে ডেইরি ফার্ম, পোল্ট্রি, মৎস্য চাষ ও গরু মোটাতাজাকরণের সমন্বিত খামারের মাধ্যমে একজন সফল খামারি হিসাবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি গড়ে উঠে। নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ (সম্প্রসারণ) কর্মকর্তা হাছান আহমেদ বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় ৫০ জন খামারিকে গরু মোটাতাজাকরণের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। খামারিদের ভিটামিন, কৃমির ওষুধসহ  খাবারের ম্যানুয়েল দেয়া হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ১শ’ ৩৩ জন খামারিসহ মৌসুমী গরু বিক্রেতাদের মাধ্যমে প্রায় ২১ হাজার গরু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম