নকশী বার্তা ডেস্ক : উন্নয়ন প্রকল্পসহ যেকোনও প্রকল্প নেওয়ার সময় একটি ওয়ার্ক প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী রোববার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা/সিটি কর্পোরেশনসমূহের সাথে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, কোন সময় কি কাজ করবেন, কখন করবেন এবং কিভাবে করবেন এর একটি নির্দিষ্ট টাইমলাইন অথবা ওয়ার্ক প্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে। এতে যে কোনও প্রজেক্ট বা কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা সহজ হবে।
এ টাইম ফ্রেম শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে করলেই হবে না, এটি সব সময় পর্যালোচনা করে কাজের অগ্রগতি যাচাই করতে হবে বলেও জানান তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে যে কোনও প্রজেক্ট নিলেই ৮-১০ বছরেও শেষ হয় না। প্রকল্পের একটা কাগজের প্রসেসিং করতে ছয় মাস সময় লাগে জানিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, প্রকল্পের প্ল্যানিং করতে যদি বছরের পর বছর চলে যায় তাহলে জাতি তার সুফল পাবে কবে?
প্রকল্পের কাজের মানের প্রসঙ্গ তুলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে নেওয়া যে কোনও প্রকল্পে যদি নিম্নমানের কাজ হয়, দুর্নীতি হয় এবং মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয় তাহলে সেই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত প্রকৌশলী, ঠিকাদার থেকে শুরু করে যারাই যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গুণগত মানসম্পন্ন কাজ করতে গিয়ে কেউ যদি বাধার সম্মুখীন হয় বা কোনও প্রভাবশালী কাজ ব্যাহত করে তাহলে তা মোকাবিলার দায়িত্ব তার মন্ত্রণালয় নেবে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কারও সাথে সমঝোতা না করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মন্দ কাজের জন্য যেমন শাস্তি পেতে হবে তেমনি যারা ভালো কাজ করবেন তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হলে কাজের আগ্রহ বাড়বে।
মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও বিবেকের তাড়নায়, দেশের উন্নয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ দপ্তর/বিভাগ এবং প্রতিষ্ঠান তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করায় সকলের প্রশংসা করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এসময় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মূল্যায়নে ঢাকা ওয়াসা প্রথম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দ্বিতীয় এবং সিলেট সিটি করপোরেশন তৃতীয় স্থান অর্জন করায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ২০টি দপ্তর/সংস্থা/সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, রংপুর সিটি করপরেশন ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং খুলনা ওয়াসা ও রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
Leave a Reply