নিজস্ব প্রতিনিধি : মানবিকতা থাকলে এই পৃথিবীতে যেকোন অবস্থাতেই মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় ভালো বেসে পাশে টেনে নিজের সব টুকু সুখ নিয়ে সাহায্য করা যায়। করোনার ভয়াল থাবায় যখন সারা বাংলাদেশের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে তখন অনেক হৃদয়বান ব্যাক্তি নিজের উদ্যোগে নানা ভাবে মানুষেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তারই একটি উদাহরন বলছিলাম কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার উত্তর লাকসাম রেলগেইট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অপু দাশ অনিকের কথা।
করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিজের টিউশনির টাকায় অনেক গুলো ধাপে মানুষের পাশে ত্রান সামগ্রী, হেন্ড স্যানিটাইজার,মাস্ক ও করোনা প্রতিরোধী লিফটে বিতরন করেন।
তেমনি ২৪ জুলাই ২০২০ রোজ শুক্রবার বিকেল বেলা করোনালালীন চলমান ধাপে নিজের এলাকা উত্তর লাকসামে অর্ধশতাধিক শিশু-কিশোরদের মাঝে একটি করে ৩০ মিলি হেন্ড স্যানিটাইজার, একটি করে মাস্ক ও করোনা প্রতিরোধী লিফট বিতরন করেন। এতে এলাকার শিশু-কিশোরদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে বেশ উৎপুল্ল হতে দেখা যায়। হেন্ড স্যানিটাইজার,মাস্ক বিতরন করে দিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে তুলে ধরেন নিজের আত্নতৃপ্তির কথা।সে লেখাটিই অনেকের দৃষ্টি কাড়ে।
উল্লেখ্য যে, সারাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি নিজ অর্থায়নে জনসাধারনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্ক ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে কয়েক ধাপে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে আসছেন।
[ছবিঃ নিজ উদ্যোগে করোনা শুরুর দিকে মহা সড়কে হেন্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করন কার্যক্রমে]
অনেক পরিবার কে রিতিমত কিছু দিন পর পর ই খাদ্য সহায়তাপ্রদান করে থাকে।আমরা নানা ভাবে খবর নিয়ে এর সত্যতা জানিতে পারি।
[ছবিঃ নিজ অর্থায়নে লকডাউনে ৩২ টি দরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা]
অপু দাশ অনিক ২০১০ সালে লাকসাম সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১২ সালে নীলকান্ত সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়েছেন। বর্তমানে ব্রিটানীয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ৪র্থ বর্ষের শেষ সেমিস্টারের ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি নিষ্ঠার সাথে ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
[ছবিঃ বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবানু নাশক স্প্রে ছিটানো কার্যক্রমে]
[ছবিঃ নিজ উদ্যোগে ৩২ টি দরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা]
Leave a Reply