বিশেষ প্রতিবেদক : শাহানা’র জন্ম কুমিল্লা’র কোনো একটি গ্রামে। পরিবারের অসচ্ছলতার কারনে আনুমানিক ১৯৭৩ সালে পাঁচ কি ছয় বছর বয়সে- কুমিল্লা হতে ঢাকায় দূর সম্পর্কের খালার বাসায় গৃহপরিচারিকা’র কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ৫ মাস পর হারিয়ে যান একদিন। সে সময় ঢাকার কোন এক ব্যক্তির সহায়তায় চলে আসেন কুমিল্লা শহরে। তারপর তিনি কুমিল্লা নগরীর কাটাবিলে বড় হন । সেই শাহানার বয়স এখন ৪৭। বিয়েও হয়েছে লাকসাম শাকতলী গ্রামের মিজি বাড়ির ইব্রাহিম মিয়ার সাথে। ৩ সন্তানের জননী শাহানা প্রতিনিয়ত শেকড়ে টান অনুভব করলেও খুঁজে পাচ্ছেন না বাবা-মা ও ভাই-বোনদের। শাহানা নিজের নামটুকু ছাড়া পরিবারের কারোর নাম স্মরণ করতে পারছেন না । তিনি শুধু কুমিল্লা ছাড়া, গ্রাম কিংবা উপজেলার নামও বলতে পারছেন না। কোন কিছু বলে উঠার আগেই শাহানা কেঁদে চোঁখ ভাসিয়ে পেলেন, এ যেন মৃত্যুর চেয়েও কঠিন এক যন্ত্রণা। শাহানা একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন- ঢাকায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে খালার বাসায় কাজ করতেন। কাজ করার ৫ মাস পওে হারিয়ে যান তিনি। কান্নারত অবস্থায় এক ভদ্র লোক শাহানাকে পেয়ে তার বাসায় নিয়ে যান। সেখান হতে শাহানাকে কুমিল্লার বাসে করে পাঠিয়ে দেন। কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গডা গ্রামের ওমর আহম্মেদের মজুমদারের আশ্রয়ে শিশু শাহানা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকেন। ওমর মজুমদারের আশ্রয়ে থেকে শাহানা লাকসাম উপজেলার শাকতলী গ্রামের মিজি বাড়ির ইব্রাহিম মজুমদারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শাহানার স্বামী সন্তান পরিবার হলেও- ৪৭ বছরেও ফিরে পাননি হারানো সে বাবা-মা-ভাই বোনদের। শাহানাকে কোন ব্যক্তি সনাক্ত করতে পারলে যোগাযোগ করুন-০১৬৭৬-৮৩৯৩১৯ নাম্বারে।
Leave a Reply