আরেফিন শিমুল :
সেদিনের সেই শেষরাতে ফুলের বাগানে নেমেছিল দস্যু…
ভয়ংকর নেশায় তাণ্ডব নৃত্যে কাঁপিয়েছিল ৩২ নম্বর
নিকষকালো অট্ট হাসিতে গোলা বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধ।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক এক করে ঝরে গেলো অনেকগুলো তাজা প্রাণ…
সেই সাথে লুঙ্গি পাঞ্জাবি পরা অবস্থায় লুটিয়ে পড়লেন পিতা।
চলে যাওয়ার আগে তাঁর চোখে ছিল অবাক বিস্ময়…
পিতার পবিত্র রক্তে সেই চিরচেনা সিঁড়িতে তখন থোকা থোকা নিষ্পাপ রক্তকমল…
দুরে মোয়াজ্জিনের কণ্ঠে প্রার্থনার আহ্বান
আর মৃত্যুর হোলি খেলাতে পিশাচের নাপাক হাত রঞ্জিত হলো লোহিত লোবানে।
হায় বাংলা! হায় বাংলার মানুষ! লজ্জায় নতজানু হয়ে সেদিনও দিনের আলো চোখ মেলেছিল…
বোবা আর্তনাদে পুরো শহর স্তব্ধ বাকরুদ্ধ স্বাধীনতা।
কিছু প্রশ্ন, গোপন কান্না, এলোমেলো নগরী
অতঃপর খুনিরা বুক ফুলিয়ে সগৌরবে জানান দিলো তাদের কুকর্মের সর্বনাশা কীর্তি।
বুঝি এই ভালোবাসার দান, বুঝি এই বিশ্বাসের মূল্য…
ঘাতকদের বিজয় উল্লাসে চোখের পানিকে রুখেছিল পিতার সন্তানেরা…
কিন্ত কুলাঙ্গারের দল সেদিন বুঝেনি এক মুজিবকে হত্যা করে লক্ষ মুজিবের ঘুম ভাঙিয়েছিল তারা।
মুজিব আজো আছে, কালও ছিল
যতদিন এই বাংলার আকাশে একটি সূর্য ওঠবে
পদ্মা-মেঘনায় ভালোবাসার আগ্রাসী বান থাকবে হাওয়ার তোড়ে পতপত করে উড়বে পতাকা
আর আলতা রাঙা পায়ে গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে হন্যে হয়ে ঘুরবে কিশোরী বালিকা…
একটি সুবোধ বালক ঘাস ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে রাস্তার ওপারে…
ততদিন মুজিব থাকবে আমাদেরই মাঝে।
Leave a Reply