শামীমা সুমি
কত যুগ যুগান্তর খুঁজে চলেছি আমি
কাঁকরবিছানো এবড়োখেবড়ো পথ বেয়ে,
কত পাহাড় সাগর বন বনান্তর ঘুরে ফিরছি
মগধ থেকে কলিঙ্গ গৌড় অথবা পাল জনপদে।
কোথায়ও তুমি নেই কোন লোকালয়ের অন্দরমহলে
গেয়েছি কতোবৈষ্ণব পদাবলী রাধাপ্রেম গাঁথা।
কত বিনিদ্র রজনী করেছি সমর্পণ তোমার পদ্মকমলে
জোছনা কুঁড়িয়ে গেঁথেছি মালা তোমায় পরাবো।
হাজার কালো দিঘীতে করেছি স্নান পদ্মের লোভে
পদ্মের মাঝেও তুমি কোথাও নেই কোনখানে,
সাগরের বেলাভূমি ছিলো আমার শয্যাতল
ঝিনুকের বুকেও খুঁজেছি জলপরীদের সঙ্গে নিয়ে।
অরুন্তুদ মনে নিয়ে তুলে দিয়েছি ব্যথায় অর্গল।
তড়িন্ময় হয়ে ঘুরেছি ঘুরেছি বজ্রের পিছুপিছু
আকুল ভিজেছি বর্ষার জলে কিম্বা ঝড়ের তাণ্ডবে
আশা ছিলো যদি মেঘের দেশে তোমায় পাই।
শতপাখির কুজনে কান পেতেছি আবিষ্টমনে
কোনটা তোমার স্বর আলাদা করার আপ্রাণ চেষ্টা।
অবসন্ন আর ক্লান্ত আমি বিষন্ন মনে আছি বসে
হঠাৎ পরলো চোখে মুক্তোর মতো জ্বলজ্বলে তুমি
দারুচিনির গন্ধ ছড়িয়ে হাসছো প্রাণখুলে
দীপ্তিময় ঘাসের ডগায় একবিন্দু পরশপাথর
তৎকালসম্ভুত আকুল হয়ে বুকে তুলে নিলাম
শত অন্বেষণে পেলাম তুমি আমার
আরাধ্য কুয়াশাভেজা ভোরের শিশির।
Leave a Reply