কুমিল্লার লাকসামে শাশুড়ীর মিথ্যা অভিযোগ ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে একপেশে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জামাতা তৌহিদুল ইসলাম রবিন। সম্প্রতি তার শাশুড়ী ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে স্ত্রী শাহিনুর আক্তার রুবিকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ এনে লাকসাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শাশুড়ীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে অভিযুক্ত জামাতা রবিনের বক্তব্য ছাড়াই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি মিথ্যা অভিযোগ ও একপেশে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিবাদ লিপিতে তৌহিদুল ইসলাম রবিন উল্লেখ করেন, গত ২৪ মার্চ মনোহরগঞ্জ উপজেলার আমতলী গ্রামের ইয়াছিন মাষ্টার বাড়ীর আনোয়ার হোসেনের মেয়ে শাহিনুর আক্তার রুবিকে তিনি ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক রীতি-নীতি অনুযায়ী বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রী রুবির পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে মনোমালিন্যতার সূচনা হয়। এর রেশ ধরে স্ত্রী রুবি তার পিত্রালয়ে চলে গিয়ে প্রায় দুই মাস সেখানে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে রবিন ও তার মা শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে তাদের বাড়ি পৌরশহরের শ্রীপুর গ্রামে আনেন। বাড়িতে আনার পরও তার মধ্যে পূর্বোক্ত উশৃঙ্খল আচরণ বিদ্যমান ছিলো। বারবার নিষেধ করা স্বত্তেও রুবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফয়সাল নামের এক ছেলের সাথে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিলো। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় স্বামী রবিনের উপর সে নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করে। গত ৩ আগস্ট রবিনকে পানির সাথে মিশিয়ে অতিমাত্রার চেতনানাশক ঔষধ (রিভোট্রিল) সেবন করায় রুবি। ফলে ২ দিন তিনি লাকসামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট শারিরীক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় রবিন বাড়ি ফিরলে ওইদিন সন্ধ্যায় স্ত্রী রুবি পুনরায় ঝগড়া শুরু করে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে রবিন তার স্ত্রীকে থাপ্পড় দিলে প্রত্যুত্তরে স্ত্রী তার গোপনাঙ্গে লাত্থি মারে। পরে স্বামীকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে রুবি তার নিজের মাথা দেয়ালে আঘাত করতে শুরু করে। এসময় রবিনের অভিভাবকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বিষয়টি শ্রীপুর গ্রামের সর্দার আনোয়ার হোসেন, যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, মোঃ হেলালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন এবং রুবির অভিভাবকদেরকে খবর দেন। রাতেই রুবির চাচা শাহাদাত হোসেন এসে রুবিকে তার পিত্রালয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার রুবির মা ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে রুবির শ্বশুর আব্দুল মমিন, শাশুড়ী হাজেরা বেগম এবং স্বামী রবিনের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ এনে লাকসাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
প্রতিবাদ লিপিতে রবিন আরো উল্লেখ করেন, চেতনানাশক ঔষধের প্রভাব এবং স্ত্রীর দেয়া আঘাতের ফলে গত ৫ আগস্ট বুধবার রাতে তিনি পুনরায় লাকসামের আরেকটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার বিকেলে সে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। তিনি দাবি করেন, রুবির পরকীয়া ঢাকতে এবং তিনি ও তার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের কল্পিত ঘটনা সাজায় রুবির পরিবার। রুবির যাবতীয় অপকর্মের প্রমাণ এবং পরকীয়া প্রেমিকের দেয়া হত্যার হুমকির ‘অডিও ক্লিপ’ তার সংরক্ষণে আছে। ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে অভিযুক্তদের বক্তব্য ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি মিথ্যা অভিযোগ ও একপেশে সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিবাদান্তে
তৌহিদুল ইসলাম রবিন
(zবিজ্ঞাপন)
Leave a Reply