মোজাম্মেল হক আলম :
আজীবন মানব সেবায় নিজেকে উৎস্বর্গ করতে চান কাউন্সিলর নাসিমা সুলতানা। তিনি লাকসাম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত ৪.৫.৬) মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে পরপর ৩বারের দায়িত্ব পালন করছেন। নাছিমা সুলতানা ২০১৫ সালে ৩বার নির্বাচিত হয়ে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসনের উন্নয়নের রূপকার, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি‘র আস্থাভাজন হয়ে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। প্রয়াত কাউন্সিলর শাহ আলমের মতো করেই নিজের এলাকাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন উন্নয়নের শিখরে।
তিনি ওই ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সময় নানা সহায়তা দিয়ে আসছেন। তাই সাধারণ মানুষের সাথে তার একটা গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠায় তিনি বার বার নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। পাশাপাশি পাড়া-মহল্লার রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ, জলাবদ্ধতা নিরসন, তরুণ-যুবকদের মাদকমুক্ত করাসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে আস্থা কেড়ে নিচ্ছেন ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষের। এলাকার মানুষের সুখ-শান্তি ও উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন লাকসাম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা সুলতানা।
গত ২৩জুন ওই ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর মোঃ শাহ আলমের মৃত্যুর এক মাস পর গত ২৮ জুলাই লাকসাম পৌরসভা সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা সুলতানাকে ৫নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারপর থেকে তিনি আরো পরিশ্রমী হয়ে উঠেছেন। সাধারণ মানুষের সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন প্রতিনিয়িত। মানব কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে মাঠেই থাকছেন সবসময়।
ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানায়, মাননীয় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের ভালোবাসায় এবং প্রয়াত কাউন্সিলর মোঃ শাহ আলম ও মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা সুলতানার শ্রমে আমাদের ওয়ার্ডের বেশির ভাগ সমস্যাই সমাধান হয়েছে। কাউন্সিলর নাসিমা সুলতানা ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলরের দায়িত্ব পাওয়ার পর আগের চেয়ে তার কাজের গতি আরো বেড়েছে। গত কয়েকদিনে সে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন কাজ নিজে মাঠ পর্যায়ে থেকে দেখভাল করছেন। আমাদের সমস্যার কথা শুনা মাত্রই ছুটে আসছেন।
ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলর নাসিমা সুলতানা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয়ের নির্দেশে ৫নং ওয়ার্ডে মানব সেবায় নিজেকে প্রতিনিয়িত নিয়োজিত রাখতে চাই। মানুষের জন্য কাজ করাই আমার উদ্দেশ্য।
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে আমার ভালো লাগে। ইতিহাস সমাজকর্ম করার ইতিহাস, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস, মানুষকে বুকে টেনে নেয়ার ইতিহাস। তাদের সেই কাজকে আমি শুধু ধরেই রাখতে চাই না, আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এর বাইরে আমার অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমি এই অঞ্চলের সন্তান। আমাকে আপনাদের সন্তান মনে করে নির্দিধায় আদেশ-নির্দেশ-উপদেশ দেবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছুই চাই না। আমাদের অভিভাবক, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আমাকে মানব সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন তাতেই আমি খুশি।
Leave a Reply