অনলাইন ডেস্ক : : কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর বলেছেন, শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপনে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এছাড়া যে সব সরকারি নিদের্শনা রয়েছে প্রতিটি মন্দির এবং মন্ডপকে এসব নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কুমিল্লা জেলায় মোট ৮ শত ৮টি পূজা মন্ডপের তথ্য সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। আমরা এসব মন্ডপে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতির ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। গতকাল মঙ্গলবার শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় কুমিল্লা জেলাপ্রশাসকের সাথে অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের ইন্টারনেট জুম মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নেয়া হয় বলে তিনি জানান।
এর আগে দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ভাবে ২৬টি নিয়ম মানার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয় কেন্দ্রিয় ভাবে। এরমধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, ভক্ত-পূজারী ও দর্শনার্থীদের জীবানুমুক্তকরন এবং সামাজিক দূরুত্ব মেনে চলার উপর জোর দিয়ে বার বার জোর দেয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নুরুজ্জামান জানান, পূজা উপলক্ষ্যে জেলার ৮০৮টি পন্ডপের জন্য আধা টন করে মোট ৪০৪টন চাল বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া মন্ডপগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ, আনসার মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এখনো ধর্মমন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা পেলেই কাজ শুরু করবো। এছাড়া আগের ঘোষিত নির্দেশনাগুলো বলবৎ থাকবে।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল জানান, আমরা সবগুলো মন্দির এবং মন্ডপে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশনা পৌছে দিয়েছি। এছাড়া উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজানো থেকে বিরত থাকার জন্যও বলা হয়েছে। এর আগে জাতীয় পূজা উদযাপন কমিটির দেয়া ২৬টি নির্দেশনা মেনে চলার জন্যও বলা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি পূজা মন্ডপ মুরাদনগর উপজেলায় ১৪৪টি। দাউদকান্দিতে ৫৫টি, মেঘনা ৬টি, হোমনা ৪৭ টি, তিতাস ১৫টি, দেবিদ্বার ৫৮টি, ব্রাহ্মণপাড়া ১৬টি, বুড়িচং ৪১টি, চান্দিনায় ৭৪টি, বরুড়া ৮৬টি, লাকসাম ৩৪টি, মনোহরগঞ্জ ১২টি, সদর দক্ষিণে ৪৪টি, লালমাই ১৮টি, নাঙ্গলকোটে ৯টি এবং চৌদ্দগ্রামে ২৪টি।
Leave a Reply