নিজস্ব প্রতিনিধি :
সোমবার লাকসাম নবাব ফয়েজুন্নেছার বাড়ীতে লাকসাম বাজার নামক ফেসবুক গ্রুপের সদস্যদের আয়োজনে কন্যা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
৪ অক্টোবর রবিবার বিকেল তিনটায় নারী জাগরণের অগ্রদূত লাকসামের গর্ব নবাব ফয়েজুন্নেছার বাড়িতে বিশুদ্ধ, নির্ভেজাল বাংলাদেশী পন্য নুন্যতম মূল্যে বিক্রয় করার অঙ্গিকার নিয়ে কাজ করা ফেসবুক গ্রুপ লাকসাম বাজারের সদস্যগনের কন্যাদের নিয়ে কন্যা দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচি পালন করা হয়। উক্ত কর্মসূচিতে মোট ৩৭জন সদস্য অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পন্য নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তাগন তাদের পরিচয় দেন এবং তাদের কন্যা শিশুরাও তাদের পরিচয় দেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর বাচ্চাদের নিয়ে মজার মজার খেলা পরিচালনা করেন গ্রুপটির এডমিন জি.এম.এস রুবেল। খেলায় ছলে বাচ্চাদের সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়। এরপর খেলাগুলোর পুরস্কার ও উক্ত কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সকল শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়।
এরপর সদস্যরা তাদের অনুভুতি প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রথমে লাকসাম বাজার গ্রুপ মডারেটর হাজেরা কুদ্দুস রুপা তার বক্তব্যে বলেন, সবাই আমাদের সাথে সার্বিক সহায়তা করে উৎসাহ দেয়ার কারনে নতুন নতুন কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে। অনুষ্ঠানের স্পঞ্চর ও সমন্বয়ক সাফায়েত হোসেন সাফা বলেন, আমি একজন প্রবাসী এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছি, গত তিন মাস লাকসাম বাজার গ্রুপটির সাথে কাজ করতে পেরে আমি খুশি। আর অনুষ্ঠান সমন্বয়ক হিসেবে আজকের আয়োজন ভালোভাবে পরিচালিত হওয়ায় স্বস্তি লাগছে। অনুষ্ঠানের আরেকজন স্পঞ্চর সাইকা মাকসুদ বলেন, আমাদের এডমিন প্যানেলকে ধন্যবাদ বাচ্চাদের নিয়ে এতো সুন্দর একটি আয়োজন করার জন্য এবং এখানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজকে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করছি। অপর স্পঞ্চর মাটির তৈজসপত্র নিয়ে কাজ করা মনি মজুমদার বলেন, সাফা ভাইয়ের রান্না করা নুডলস, উম্মে হাবিবা ও ঝুমা কবিরের পিঠাগুলো মজা করে খেলাম এবং বাচ্চাদের আনন্দ দেখলাম। ব্যাতিক্রম ছিলো আয়োজনটি। আমি নিয়মিত আমাদের এই ফেসবুক গ্রুপটির সাথে আছি এবং থাকবো।
বিভিন্ন রকম গাছের চারা নিয়ে কাজ ঝুমা কবির বলেন, লাকসাম বাজার গ্রুপে আমরা মেয়েরা বেশি একটিভ থাকি। এডমিন রুবেল ভাইয়াকে ধন্যবাদ লাকসামে আমাদের জন্য এতো সুন্দর একটা সুযোগ তৈরি করায়।
লাকসাম বাজার গ্রুপের অপর সদস্য ফাতেমাতুজ জোহরা মিতু বলেন, আমার মেয়ে আজ অনেক আনন্দ করলো। এতো সুন্দর একটি ক্রিয়েটিভ কর্মসূচির কথা ভাবতে পারায় এডমিন রুবেল ভাইয়াকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। মেয়েদের পার্লার নিয়ে কাজ করা নাছিমা হাসান তিথি বলেন, বিশেষ করে আজ মেয়ে শিশুদেরকে খেলার ছলে রুবেল ভাইয়া বাচ্চাদের আজ শেখালো অচেনাদের সাথে কোথাও না যাওয়া, মা-বাবা ছাড়া অপরিচিত কারো আদর না নেয়া, সাতার না শিখে পুকুরে না নামা সহ কন্যা শিশুদের নানান করনীয় বিষয়গুলো। এগুলো সামনে আরও দেখতে চাই।
শিশুদের কাঁথা ও পোশাক নিয়ে কাজ করা তাহমিনা মজুমদার জনি উনার বক্তব্যে বলেন, এডমিন প্যানেল ও প্রোগ্রাম স্পঞ্চরগনকে ধন্যবাদ জানাই সবাই এভাবে এগিয়ে এলে এই গ্রুপটি অনেক দূর যাবে এবং আমরা লাকসামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করতে পারবো।
গ্রুপের এডমিন ও আজকের প্রোগ্রামের সার্বিক তত্বাবধায়ক জি.এম.এস রুবেল বলেন, ব্যবসায়িরা সাধারণত ব্যস্ততার কারণে কিছুটা নিরস হয়ে থাকেন। জীবনকে উপভোগ করা হয়ে উঠে না। তাই আমরা চাই সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে সংঘবদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে নিরাপদ ও বিশ্বস্ত অনলাইন বিপনন মাধ্যম হিসেবে আমাদের লাকসাম বাজার ফেসবুক গ্রুপকে গড়ে তোলা। তারই অংশ হিসেবে উদ্যোক্তাদের কন্যাদের নিয়ে এই আয়োজন করা হলো। ভবিষ্যতে এমন আরো অনেক সৃজনশীল ও ব্যতিক্রমি আয়োজন থাকবে। আশাকরি আমরা ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন একটা ধারা গড়ে উদাহরণ সৃষ্টি করে যেতে পারবো ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে।
শেষে লাকসাম নাট্যজংশনের কর্মীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথে সাথে লাকসাম বাজারের সদস্যদের তৈরি করা খাবার আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ করা হয়।
Leave a Reply