রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির উৎপাদিত আদা ও হলুদের কদর রয়েছে সারা দেশে। তাই দিন দিন রাঙ্গামাটির পাহাড়ে বাড়ছে মসলার চাষ। মসলা চাষ লাভজনক হওয়ায় জুম চাষীরা সাথী ফসল হিসাবে আদা ও হলুদের চাষ করছে। আর খরচের তুলনায় লাভ দ্বিগুন হওয়ায় দিন দিন পাহাড়ের কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছে এই চাষে।
রান্নার অন্যতম অনুসঙ্গ হলুদ। বিয়ে বাড়ি, সাজগোজ কিংবা রান্না সব ক্ষেত্রেই হলুদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। খরচের তুলনায় লাভ দ্বিগুন, চাষ করা যায় অন্য ফসলের সঙ্গে। হলুদ ক্ষেতে রোগ-বালাইয়ের আক্রমন তেমন একটা হয় না। আর এ কারণে বিভিন্ন জেলায় কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হলুদ চাষ। হলুদ চাষে সাবলম্বী হচ্ছে পাহাড়ের কৃষকরা। তারা বেশীর ভাগ চাষ করেন, পাবনা হলুদ, দেশী হলুদ ও শ্রীলং হলুদ।
রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শান্তিময় চাকমা জানান, রাঙ্গামাটিতে ৩২০ হেক্টর জমিতে এবার হলুদের চাষ করা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা এখন ব্যস্ত ক্ষেতের হলুদ চাষের পরিচর্যা নিয়ে। ভালো মানের হলুদ চাষে নিয়মিত চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক জানান, রাঙ্গামাটিতে প্রতিবছর ৫ হাজার হেক্টর হেক্টর জমিতে আদা ও হলুদের চাষ হচ্ছে। প্রতি হেক্টরে ১২ টন করে আদা ও ৫ টন করে হলুদ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তাই পাহাড়ে আদা-হলুদ চাষ বাড়াতে কৃষি বিভাগ থেকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম জানান, পাহাড়ি এলাকায় আদা ও হলুদের গড় ফলনও এখন অনেক বেশি। রাঙ্গামাটির সবুজ পাহাড়ে চাষীরা আধুুনিক পদ্ধতিতে যাতে পাহাড়ে আদা হলুদের চাষ করতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন সব সহযোগিতা দিচ্ছে।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসীন রোমান জানান, রাঙ্গামাটির পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঝুম চাষে আদা, হলুদ, কলা ও পেপের ফলন ভালো। পাহাড়ে ও পতিত জমিতে দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের দিয়ে চাষ বাড়ানো গেলে মসলা জাতীয় ফসল চাষে রাঙ্গামাটির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন
Leave a Reply