মোজাম্মেল হক আলম :
আসন্ন লাকসাম পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরার নাম শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে হিরার সমর্থকদেরকে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
জানা যায়, এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা পৌরশহরের উত্তর লাকসাম এলাকার প্রয়াত সমাজসেবক আনু মিয়ার বড় ছেলে। তিনি লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। রাজনীতিবিদ ছাড়াও তিনি উপজেলা জুড়ে একজন সমাজসেবক, নাট্যকার ও মিডিয়া ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত। ইতোমধ্যে তিনি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য ১৮ শতক এবং মডেল কলেজের পাশে মসজিদের জন্য ৬ শতক ভূমি দান করেন। এর পাশাপাশি তিনি লাকসাম ফেইস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা ১৯৮৯ সালে লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৫ সালে বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০০৩ সালে একই উপজেলার যুবলীগের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত ছিলো নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ। সেসময় কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে হামলা-মামলার শিকার হয়ে ৬/৭ বার কারাবরণ করেছেন ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম হিরা। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা রেখে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় জনসাধারণের পাশে থেকে তিনি সামাজিক অনুষ্ঠান এবং দলীয় ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। বারবার হামলা-মামলা ও প্রতিপক্ষের নির্যাতন-নিপীড়ন সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করে ছাত্র জনতা ও যুব সমাজের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন রফিকুল ইসলাম হিরা। তিনি বিনা পারিশ্রমিকে এ উপজেলার হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১০ সালে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলতার কারণে অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন।
আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরার প্রসঙ্গে কথা হলে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা বলেন, প্রতিটি আন্দোলন, সংগ্রাম, নির্বাচন, সভা সমাবেশে বজ্রকণ্ঠের স্লোগানে ও জ্বালাময়ী বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেন এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা। তিনি মেয়র হলে পৌরশহরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।
এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা বলেন, ‘মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন করাই আমার লক্ষ্য। রাজনীতি আমার নেশা, পেশা না। তাই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে চাই। মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম মহোদয়ের নেতৃত্বে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দলীয় মনোনয়ন পেলে আসন্ন পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মেয়র নির্বাচিত হলে মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমি লাকসাম পৌরসভাকে আরো এগিয়ে নিতে চাই।
Leave a Reply