কৃষকের নানান রকম ফল খেয়ে সাবাড় করেছে কাঠবিড়ালী (চলা)। ছবি : সংগৃহিত
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাঠবিড়ালী (চলা) অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে হাজার হাজার কৃষক। ডাব, নারীকেল সুপারী থেকে শুরু করে শীতকালীন ফল কোন কিছুই বাদ যাচ্ছে না তাদের খুরদার দাতের অত্যাচারে। রাত কিংবা দিন তাদের দমিয়ে রাখাতো দূরে থাক বার বার তাড়াতে গিয়ে হাপিয়ে উঠেছে অনেক কৃষক। পেপে, পেয়ারা, বড়ই, সিম, বেগুন, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, মুলা, লাউসহ ও বিভিন্ন ধরনে ফলফলাধি খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে।
দুষ্ট প্রকৃতির এই বিড়াল থেকে রেহাই পেতে অনেকে গাছের আগায় ফাঁদ তৈরী করলেও কোন কাজে আসছে না। দূরদার্ন্ত ক্ষীপ্রগতি সম্পূন্ন এই পশুটিকে কৃষকরা তাড়ানোর আগেই দ্রুত সটকে পড়ে। মানুষের কোন শব্দ পেলে গাছের ডালে বা চিপায়-চাপায় লুকিয়ে থেকে আবার আসে। এই ভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার গাছের ডাব, নারীকেল খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে।
উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়ন থেকে আলকরা পর্যন্ত ৪২৯ টি গ্রামে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার থেকে লক্ষাধিক ডাব, নারিকেল সহ এই কাঠবিড়ালী নষ্ট করে যাচ্ছে। বর্তমান যার আনুপাতিক বাজার মূল্য ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা। এইভাবে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মূল্যের সম্পদ নষ্ট করার ফলে কৃষকরা পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে।
গুনবতি ইউনিয়নের ঝিকড্ডা গ্রামের কৃষক মোঃ আবুল কালাম জানান, আমার কয়েকটি নারিকেল গাছে শতাধিক কচি ডাব ছিল। সকালে দেখি সব ফুটা। গাছ বেয়ে বেয়ে ডাবের মিষ্টি জাতীয় পানি পড়তেছে নিচে। পরে আমি গাছিকে দিয়ে সব ডাব নারিকেল পেড়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছি। কি আর করা। অনেক চেষ্টা করেছি কাঠবিড়ালী ধরার। কিন্তু পারি না।
এই বিষয়ে উপজেলার সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান কাঠবিড়ালী আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যান্ত উপকারী একটি প্রানী। এটিকে বাঁচিয়ে রাখার আমাদের সকলের দায়িত্ব। সরকার এই প্রানীকে মারতে নিষেধ করেছেন। আর বিভিন্ন শাক সবজি ও ডাব নারিকেল যেন নষ্ট না হয় সেই দিকে একটু খেয়াল রাখলেই চলবে। বিশেষ করে টিনের তৈরী ফাঁদ করতে হবে। এইভাবে কয়েক দিন শব্দ তৈরী করলে তারা চলে যাবে।
Leave a Reply