অরবিন্দ দাস, নাঙ্গলকোট:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে বিরোধীয় সম্পত্তিতে বে আইনিভাবে মাটি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলার মৌকারা ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম সোহাগ নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও থানা অফিসার ইনচার্জের (ওসি) নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ, নুরুল ইসলাম সোহাগ বাদী হয়ে কুমিল্লার তৃতীয় যুগ্ম জর্জ আদালতে আলিয়ারা মৌজার সাবেক দাগ নং ৩৮৪, বি . এস.দাগ-৫২৩, ২.৪০ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে এজমালি বিত্ত বন্টননামা মামলা দায়ের করেন। যার নন্বর-৯৮/১২। কিন্তু মামলা চলমান অবস্থায় বিবাদি পক্ষ উক্ত সম্পত্তির জবর দখল করার চেষ্টা করলে সোহাগ বিগত ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের সম্পত্তিটির উপর আদালতের স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের সিভিল ধারা -১২৮(এফ.এম) ২০১৬ মামলা দায়ের করেন। হাইকোর্টের বিচারপতি মামুনুর রহমান এবং আশিক রঞ্জন দাস শুনানী শেষে রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ২০১৭ সালের ২১ শে নভেম্বর সম্পত্তি টিতে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। কিন্ত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্যকরে বেআইনীভাবে বিবাদি পক্ষ একই গ্রামের মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে জহিরুল ইসলাম শিপন, মাঈন উদ্দিন রিপন , আরন আলীর ছেলে মনু সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন গত ৭ ফেব্রুয়ারী বিরোধীয় সম্পত্তিতে মাটি ভরাট করা শুরু করে।নুরুল ইসলাম সোহাগ বলেন , আমি বিষয়টি মৌকারা ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ দেখিয়ে বিরোধীয় সম্পত্তিতে মাটি ভরাট বন্ধ রাখতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে বিবাদিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাই আমি সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করি। অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম শিপন বলেন, সম্পত্তিগুলোতে সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ আছে। যে যার দখল অনুযায়ী ভোগ দখল করতে পারবে। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply