1. mti.robin8@gmail.com : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. newsnakshibarta24@gmail.com : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. nakshibartanews24@gmail.com : nakshibarta24 :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে বাংলাদেশ

  • প্রকাশকালঃ শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
  • ১৩২ জন পড়েছেন

নকশী বার্তা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বিশ্বের বুকে চলবো। শনিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একুশে পদক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিলো স্বাধীনতা অর্জন। বাঙালীর যা কিছু অর্জন তা সংগ্রামেরই ইতিহাস।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকরা যখন আমাদের উপর একটি বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল, তখন ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে করাচিতে একটি শিক্ষা সম্মেলন হয়। সেখানেই ঘোষণা হয়েছিল ঊর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু ঊর্দু কোনো মাতৃভাষা না, আর পাকিস্তান নামে যে দেশটি হয়েছিল, তার জনসংখ্যার ৫৬ ভাগের উপরেই আমরা বাঙালি। আমাদের ভাষা বাংলা ভাষা। কিন্তু সেই বাংলা ভাষা বাদ দিয়ে বিজাতীয় ভাষা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

‘সেই ঘোষণাটা পূর্ববঙ্গে আসার সাথে সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তখন প্রতিবাদ জানায়। তখনকার যিনি মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীও বলা হত, তার বাড়ির সামনে গিয়েও তারা সেখানে প্রতিবাদ জানিয়ে আসে। এরপর ১৯৪৮ সালে চৌঠা জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ নামের সংগঠন গড়ে তোলেন। এবং তারই প্রস্তাবে এই ভাষা আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই কিন্তু মূলত আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। কারণ যারা আমাদের ভাষার উপর আঘাত করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই তিনি প্রতিবাদ শুরু করেন।

এসময় একুশে পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আজকে আমাদের ভাষা শহীদ এবং ভাষা সৈনিকদের নামে পুরস্কার পেয়েছেন। আমি আপনাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই, সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিশেষ অবদান রেখে আপনারা আজ এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

‘আপনাদের কাছ থেকেই আগামী প্রজন্ম অনেক শিক্ষা নিতে পারবে। কারণ, এই দেশের শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান, গবেষণা, সংস্কতি চর্চা, সমাজসেবা—বিভিন্ন কাজে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে যাচ্ছেন তাদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। কাজেই আমি মনে করি, এটা শুধু আপনাদের সম্মাননা না, এটা জাতির জন্য সম্মাননা, দেশের মানুষের জন্য সম্মাননা।’

আগে অল্প কয়েকজনকে এই সম্মাননা দেওয়া হলেও এখন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২১ জনকে এই সম্মাননা দিচ্ছে এবং পুরষ্কারের অর্থও বৃদ্ধি করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

করোনা টিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি চলছে। যদিও ভ্যাকসিন আসছে, ভ্যাকসিন দিচ্ছি। এ বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করছি। অন্তত মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার বিষয়টি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ বছর একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন— ভাষা আন্দোলনে মরহুম মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার) (মরণোত্তর), মরহুম শামছুল হক (মরণোত্তর) এবং মরহুম আফসার উদ্দিন (মরণোত্তর)। শিল্পকলা বিভাগে (সঙ্গীত) বেগম পাপিয়া সরোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আলোকচিত্রে পাভেল রহমান।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুল রহমান খান ফারুক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)। সাংবাদিকতায় অজয় দাসগুপ্ত, গবেষণায় ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান।

ভাষা এবং সাহিত্যে এই সম্মাননা পেয়েছেন কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী এবং গোলাম মুরশিদ।

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম