চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আমের জুসের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক পিতা লিটন মিয়া (৪৫) কে আটক করে সোমবার তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের রামরায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত লিটন মিয়া নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার মরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। সে পেশায় একজন রিক্সাচালক। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে স্বামী লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সোমবার চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কাদের জানান, ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর বয়স ১৭ বছর। সে চৌদ্দগ্রামের স্থানীয় একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। গত ৭ এপ্রিল লিটন মিয়া আমের জুসের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়ে তার ছোট বোনকে জানালে ছোট বোন তার মা হাজেরাকে জানায়। পরে হাজেরা বেগম ৩০মে স্বামী লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত লিটন মিয়াকে আটক করে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা হাজেরা বেগম জানান, তিনি একজন মাটি কাটার শ্রমিক। প্রতিদিনের মত তিনি মাটি কাটতে চলে যান। ঘটনার প্রথম দিনে লিটন মিয়া রিক্সা চালিয়ে চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে আমের জুস কিনে নিয়ে তার সাথে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। আমি এই নরপিশাচের বিচার চাই।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ পেয়ে আমরা মামলা গ্রহণ করি। অভিযুক্ত বাবা লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে ও ভিকটিমের মেডিকেল সম্পন্ন করতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply