1. mti.robin8@gmail.com : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. newsnakshibarta24@gmail.com : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. nakshibartanews24@gmail.com : nakshibarta24 :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপিকে চলতে হবে খালেদা ছাড়া

  • প্রকাশকালঃ শনিবার, ৬ জুন, ২০২০
  • ২৭৪ জন পড়েছেন

বদরুল আলম মজুমদার : খালেদা জিয়া ছয় মাসের শর্তাধীন মুক্তি পেয়েছেন দুই মাস আগে। এর মধ্যে তার সঙ্গে দলের বেশ কিছু নেতা সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে খালেদা জিয়া সবাইকে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশনা দেন। সঙ্গে এও বলেন, রাজনীতির এ অবস্থা শিগগিরই কেটে যাবে। নেতাদের সঙ্গে এর বাইরে কোনো সাংগঠনিক বিষয় বা রাজনৈতিক করণীয় নিয়ে কথা বলেননি বলে জানায় দলীয় একাধিক সূত্র।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাও রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার এখনো উপযোগী নয়। তাছাড়া শর্তাধীন মুক্তিতে সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোতে বাধা রয়েছে। এমন অবস্থায় শর্তাধীনে মুক্ত খালেদা জিয়াকে বিএনপি আপাতত তাদের পাশে পাচ্ছে না। দলীয় কর্মকাণ্ডে না থাকলেও মুরব্বি হিসেবে সবার ওপরে ছায়া হয়ে থাকবেন বলে মত দেন বিএনপির একাধিক নেতা।

খালেদা জিয়ার জেল থাকা অবস্থায় তারেক রহমান যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন, ঠিক একইভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করে যাবেন তিনি। দিতে পারেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে পরামর্শ করে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন বলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, অসুস্থ খালেদা জিয়াকে গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে তিনি টানা ২৫ মাস কারাবন্দি ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন কারাগারে যাওয়ার পরপরই দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন। দায়িত্ব পেলেও তারেক রহমান ২০০৮ সালের পর থেকেই লন্ডনে রয়েছেন। বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে ইচ্ছা থাকলেও দেশে ফিরতে পারছেন না।

তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দল পরিচালনায় তিনি সরাসরি ভূমিকা রাখছেন। একটি সুসংঠিত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তিনি গড়ে তুলেছেন। সিনিয়র নেতারা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় আড়াই মাস কেটে গেছে। প্রথম দুই মাস তিনি বলতে গেলে পরিবারের কয়েকজন সদস্য ছাড়া কাউকে সাক্ষাৎ দেননি। রোজার মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদের দিন রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একসঙ্গে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এ সাক্ষাতের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা কৌতূহল দেখা দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণেই তিনি দলীয় রাজনীতিতে আপাতত সক্রিয় হচ্ছেন না। নেতাদের সঙ্গে এসব সাক্ষাৎ ছিল অনেকটাই সৌজন্যমূলক। প্রয়োজন মনে করলে তিনি দলের নীতিনির্ধারকের মাঝে মধ্যেই এই ধরনের সাক্ষাৎ দিতে পারেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে থাকুন আর বাইরে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকুন, তিনিই দলের প্রধান অভিভাবক। খালেদা জিয়া মানেই বিএনপি। জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণার উৎস তিনি। সাংগঠনিক যেকোনো বিষয়ে তার নির্দেশনা দল বাস্তবায়ন করবে। তবে যেহেতু তিনি অসুস্থ আর দেশে এখন বিএনপির রাজনীতির পরিবেশ নেই, সে কারণে তিনি সরাসরি দল পরিচালনায় আসছেন না।

এদিকে ছয় মাসের মুক্তি হিসাব করলে সরকারের নির্বাহী আদেশের মেয়াদ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া এই আদেশের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করবেন। এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিএনপি। এরই মধ্যে দলের একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

নেতারা বলছেন, করোনার কারণে পরিস্থিতি ভিন্ন থাকায় এখনো কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়নি খালেদা জিয়ার। সে কারণে চিকিৎসার বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সেদিক থেকে ছয় মাস সময় পার হলেও প্রথমত তার সুচিকিৎসার কাজটিই অগ্রগণ্য থাকবে।

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম