নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি : নাঙ্গলকোটে ভুল চিকিৎসায় শিরিন আক্তার (২১) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে রায়কোট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা ফেরদাউস আক্তারের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মাহিনী বাজারের ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রসূতি রায়কোট উত্তর ইউপির ছগরীপাড়া গ্রামের এয়াছিনের মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে শিরিন আক্তারের ব্যথা উঠলে নিয়ে যাওয়া হয় রায়কোট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। সেখানকার পরিদর্শিকা ফেরদাউস আক্তার একটি ছোট সিজারিয়ান করে নরমালে বাচ্চা ডেলিভারি করান। এর কিছুক্ষণ পরে অধিক রক্তক্ষরণ হয় শিরিনের, খিচুনি দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পেলেন। তাৎক্ষণিক ওই প্রসূতিকে উপজেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, ফেরদাউস আক্তার আট বছর ধরে রায়কোট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা পালন করে আসছেন। এর আগে গত সাত মাস আগে কুকুরিখিল গ্রামের এক প্রসূতি ও গত তিন মাস আগে ছগরীপাড়া গ্রামের জনি মোল্লার স্ত্রী সন্তান প্রসব করাতে এসে মারা যান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ওষুধ দেওয়া ও চেকাপ করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে।
এ বিষয়ে নিহতের চাচা আমির হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ ঘটনার তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান।
অভিযুক্ত পরিদর্শিকা ফেরদাউস জানান, তিনি সেলাইন দেওয়ার আগে বাচ্চার মাথা বেরিয়ে আসলে তিনি বাচ্চাটি বের করে আনেন। পরে দেখেন ওই প্রসূতির পিপিএস আছে। যতটুকু সম্ভব পিপএসের চিকিৎসা দিয়ে কুমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। এদিকে নানা অনিয়মের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply