কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম আর অসচেতনতার কারণে দুর্ভোগে রোগী ও সাধারণ মানুষ! উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন পূর্বে চালু হলেও এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা চালু হয়নি। তবে নিয়মিত আউটডোর ও জরুরি স্বাস্থ্য সেবা চালু থাকার পাশাপাশি একটি প্যাথলজী থাকলেও নেই কোন কার্যকাক্রম! হাসপাতাল চালু হয়েছে থেকে আজ পর্যন্ত প্যাথলজীর কোন কার্যক্রম চালু হয়নি। কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো হচ্ছেই না নেই রক্তপরীক্ষার কোন সরঞ্জামও!
প্যাথলজীর ভিতরে পরিত্যক্ত কার্টুন, রশি, বোতলসহ বিভিন্ন ধরণের ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি! প্যাথলজী রুমের একটু পাশেই টয়লেট। সব সময় টয়লেট শব্দটি মুখে আনতে বা দৈন্দিন জীবনে শব্দটি উচ্চারণ বা ব্যাবহারে একটু নোংরামির ভাব থাকলেও আমরা এই শব্দের সাথে জড়িত। কিন্তু হাসপাতালের টয়লেটে প্রবেশের জন্য উঁকি দিলেও আপনার মনে হবে আমি এই টয়লেটে এসে পাপ করে ফেলেছি! এখানে রোগীদের পাশাপাশি ও সুস্থ্য মানুষও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে! হাসপাতালের কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে টয়লেট পরিস্কার হচ্ছে না।
হাসপাতালের ফ্লোরের অবস্থা ও করুণ যেখানে সেখানে ময়লার ছড়াছড়ি! বাস্তব হলেও সত্য যে মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু থাকা সত্ত্বেও উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে এই উপজেলার সিংহভাগ মানুষ এখনো একশত টাকা গাড়ি ভাড়া ব্যায় করে এখনো লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিতে হচ্ছে!শুধুমাত্র চিকিৎসা নয় চিকিৎসা ছাড়াও যেকোনো কাজে এই উপজেলার মানুষ ভালো শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদনের পাশাপাশি যে কোন কাজে লাকসাম উপজেলায় যেতে হচ্ছে।
আমি সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে প্রশাসনও উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিনীতভাবে অনুরোধ করছি মনোহরগঞ্জ উপজেলার মানুষদের নুন্যতম ভাবে তাদের মৌলিক অধিকার তাদের চিকিৎসা ব্যাবস্থার দিকে জোরদার নজর দিয়ে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।
জনসাধারণের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ।
Leave a Reply