একাডেমিক, অবকাঠামো, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক শৃঙ্খলাসহ সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য।
স্টাফ রিপোর্টার :
বৃহত্তর অঞ্চলের শিক্ষার অন্যতম আলোকবর্তিকা হিসেবে পরিচিতি লক্ষণপুর নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত অনেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে উক্ত বিদ্যালয়ে ৫টি শ্রেণিতে প্রায় ১১ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। ২০১৫ সালে ১০ মার্চ প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এস.এম শেখ কামাল। বর্তমানে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। এস.এম শেখ কামাল প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌথ মতবিনিময় সভায় অঙ্গিকার করেছিলেন যে, বিদ্যালয়টি পড়ালেখা এবং বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে তিনি দেশের অন্যতম স্থান অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি বয়ে আনার অঙ্গিকার করেন। এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা এবং আন্তরিকতাও চেয়েছিলেন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে এস.এম শেখ কামাল যোগদানের পর পড়ালেখার গুণগত মান, বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল, বিভিন্ন উদ্ভাবনী ও বিজ্ঞান মেলা, জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে ডিসপ্লেসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের সফলতা অর্জন, শৃঙ্খলা, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক, বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধন, দৃষ্টিনন্দন মুল ফটক নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা কর্ণার স্থাপন, সততা স্টোর চালুকরণ, ল্যাবগুলো আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে আধুনিকায়ন, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ফিঙ্গারের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন হাজিরা চালুকরণ, ক্যাম্পাস এবং প্রায় সবকয়টি ক্লাসে রুম সিসি ক্যামেরার আওতা আনন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সুহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে একাডেমীক কার্যক্রম পরিচালনা, সবকয়টি নিয়োগ ও টেন্ডার, শতভাগ সততার ভিত্তিতে সম্পন্নকরণ, জাতীয় এবং আন্তঃক্রীড়া/সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জনসহ সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করে আসছেন। এতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে প্রসংশনীয় স্থানে অবস্থান করছে লক্ষণপুর নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিষয়ে লক্ষণপুর নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম শেখ কামালের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা এবং আধুনিক লাকসাম-মনোহরগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় এবং সহযোগিতায় লক্ষণপুর নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের অন্যতম মিশন হল, শিক্ষার্থীদেরকে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলেই দেশ দ্রুত এগিয়ে নিতে পারবে। তিনি বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই দায়িত্বের প্রতি সচেতন থাকতে পছন্দ করতাম এবং সেই পরিবেশেই বড় হয়েছি। আমি শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশের সময় প্রতিজ্ঞা ছিল সততার সাথে দায়িত্ব পালনের। আলহামদুলিল্লাহ অদ্যাবদি পর্যন্ত প্রতিজ্ঞার উপর অটল থেকে দায়িত্ব পালন করছি। আমি বর্তমানে লক্ষণপুর নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে আমি মনোহরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের বিএসসি, পঞ্চগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং উপজেলা শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আমি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মানের বিষয়ে আপোষহীন ছিলাম। তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ আমি অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের আন্তরিকতার ফলাফল হচ্ছে আজকের এই অবস্থান। গত কয়েক বছর থেকে বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় লক্ষণপুর নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি এবং এসএসসি বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সন্তোষজনক জিপিএ ৫ সহ শতভাগ পাস করে আসছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে প্রসংশীত স্থান এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রথম/দ্বিতীয় স্থান অর্জনের মাধ্যমে বরাবরই প্রসংশীত হয়ে আসছে।২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি মনোহরগঞ্জ উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরবোজ্জ্বল কৃতিত্ব অর্জন করে। আমাদের ক্যাম্পাসটি বর্তমানে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং-সহ সকল অন্যায়-অপরাধ থেকে মুক্ত থেকে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছে। বৃহত্তর এ অঞ্চলের আলোকবর্তিকা হিসেবে পরিচিত প্রিয় বিদ্যালয় অঙ্গনটি সবসময় নান্দনিক পরিবেশ বিরাজমান থাকে। তিনি আরো বলেন, আমি ছাত্র জীবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হয়ে অদ্যাবধি পর্যন্ত সে আদর্শ বুকে ধারণ করে আমি আমার ব্যক্তি ও কর্মজীবন পরিচালনা করে আসছি। দাম্পত্য জীবনে আমার তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার বড় মেয়ে রাশিয়ার একটি মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়ন করছে। পরে তিনি লক্ষণপুর নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়টি দেশের অন্যতম গবেষণামুলক বিদ্যালয় হিসেবে রুপায়িত করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply