বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী জাহান নোহার (৯) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্বজনরা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পরপরই নোহার মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত নোহা খাজুরিয়া গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় দারুল ফালাহ প্রি ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অভিযুক্ত হচ্ছেন ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে নোহাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় পয়সারহাটের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী নোহার বাবা বলেন, নোহা স্কুল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বুধবার ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তাকে মারধর করেন। এতে সে অপমানিত বোধ করে বাসায় ফিরে কান্নাকাটি করে। এক পর্যায়ে ক্ষোভে অভিমানে পরিবারের সকলের অগোচরে টিনশেড ঘরের দোতালায় আড়ার সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দেয়।
নোহার বাবা আরও বলেন, পরিবারের সদস্যরা ঘটনা টের পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা আমার শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ক্লিনিকের চিকিৎসক সকল ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে নোহাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নোহার বাবার অভিযোগ, ওই শিক্ষকের খারাপ আচরণের কারণে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নোহার বাবা বাদী হয়ে স্কুলশিক্ষক শফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। একইসাথে করোনাকালে সরকারিভাবে স্কুল বন্ধ থাকার পরও ওই স্কুলে কিভাবে পরীক্ষা হলো তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন তিনি।
নোহার বাবা সুমন মিয়ার ৪টি বিয়ে। নোহার মা ঢাকায় থাকেন। নোহা সৎ মায়ের কাছে নিজ বাড়িতে থাকতো। সৎ মা তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার চালাতে পারে বলে স্থানীয়রা সন্দেহ করছে। এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Leave a Reply