নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সদরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দু’দিন পর মারা গেছেন।
নিহত আবদুল হক ওরপে হকসাব (৪৮) উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের চর করমুল্যা গ্রামের আমিন উল্যার ছেলে এবং স্থানীয় মান্নান গ্রুপের লোক ছিলেন।
সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবদুল হক মারা যায়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
নিহতের ফুফাতো ভাই ও এওজবালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, বাবুল ডাক্তারের মদদে যুবদল ও শিবিরের ক্যাডাররা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান এবং বাবুল ডাক্তারের সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দ্বন্দ্বের জেরে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে স্থানীয় করমুল্যা বাজারে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষে আবদুল হক গুরুতর আহত হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
Leave a Reply