নিজস্ব প্রতিনিধি:

বরুড়া উপজেলায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে লাকসাম-বরুড়া সীমান্তবর্তী উপজেলার কার্জন খাল সাহাজী বাড়ীর সংযোগ খালের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বরুড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। নিহত যুবকের নাম সোহেল পাটোয়ারী (৪০)।তিনি বরুড়া উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নের সাহাজী বাড়ীর মৃত জাফর আহমদ পাটোয়ারী ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা জানান, মুদাফরগুন্জ বাজার পাশে ব্রিজ সাথে মনোয়ারা এন্টারপ্রাইজ নামে তার দোকান। সেখান থেকে একশতগজ (দঃ) তার বাড়ি। প্রতিদিনের মত (১৬ মার্চ) মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। শুকনো খালের ভিতর দিয়ে সামনে পৌঁছলে সড়কের ওপর ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তার শোরচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত পরিবারের স্বজনরা জানান, সোহেল পাটোয়ারীদের সঙ্গে একই বাড়ির মৃত চানমিয়া সওদাগর ছেলে ফারুক মাষ্টার সাথে ২৪ শতক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সম্পত্তি জের ধরে গত ১১ মার্চে বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিপক্ষ ফারুক মাষ্টার ডাবুরিয়া-মুড়াকটা গ্রামের কয়েজন লোক নিয়ে আসেন সম্পত্তি দখল করার জন্য। এ সময় সোহেল পাটোয়ারী বাঁধা দিলে ফারুক মাষ্টারের লোকজন আমাদের উপর হামলা করে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে নেয়। সোহেল পাটোয়ারী রাস্তার পাশে একটি দোকান নিয়ে ব্যবসা করে তাঁর দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। নিহত সোহেল পাটোয়ারী স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, আমার স্বামী সবসময় বলতেন সন্ধায় পর তার দোকানের আশ পাশে কয়েকজন ঘুরাঘুরি করত। কে বা কারা সে চিনতনা। মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ির আসার পথে খালের মধ্যে থেকে তার শোরচিৎকার শুনি এগিয়ে আসলে দেখি আমার স্বামী কে কয়েকজন যুবক কুপিয়ে রক্তাক্ত্ব অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। আমি এখন কি করবো আমার সন্তানদেরকে নিয়ে কোথায় যাবো আমি এ হত্যার বিচার চাই। এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত নিহত পরিবারের মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৪ নং ওয়ার্ড আমির হোসেন ও ৫ নং ওয়ার্ডে মেম্বার মাহবুব আলম বলেন, খবর পেয়ে এসেছি, ব্যবসায়ী সোহেল পাটোয়ারীকে কারা হত্যা করেছে আমরা জানিনা, শুনেছি তবে গত কয়েকদিন আগে সোহেল ও তার চাচাদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। লক্ষিপুর ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আছি, পুলিশ তদন্ত করে খুনিদের আইনের আওতায় আনা হোক। বরুড়া থানার (ওসি) তদন্ত নাহিদ আহমদ বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্ততে আছি।